জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রত্যাহার অস্ট্রেলিয়ার

সংগৃহীত ছবি

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রত্যাহার অস্ট্রেলিয়ার

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পর পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার স্কট মরিসনের সরকার। তবে নীরবে সেই স্বীকৃতি প্রত্যাহার করেছে অস্ট্রেলীয় সরকার। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস বসায় যুক্তরাষ্ট্র।

এর পরেই যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাটে অস্ট্রেলিয়া। ওই সময়ে কনজারভেটিব পার্টির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে চার বছর আগের এই সিদ্ধান্ত থেকে নীরবে সরে এসেছে লেবার পার্টির বর্তমান সরকার।

গার্ডিয়ান বলছে, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্বিপক্ষীয় অবস্থান ধরে রেখেছে।

তারা একটি দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; যেখানে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমান্তের মধ্যে সহাবস্থান করবে।

চার বছর আগে ক্ষমতায় এসে একটি নতুন অস্ট্রেলীয় নীতির উন্মোচন করে মরিসন সরকার। তবে সবশেষ কয়েকদিনে অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ওই নীতির দুটি বাক্য মুছে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতির বিষয়টি রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, ‘ইসরায়েলের নীতিটি নিয়ে ওই সময় থেকে লেবার পার্টি বিপরীত অবস্থানে ছিল। আমরা ওই স্বীকৃতিটি ফিরিয়ে নিবো। ’

জেরুজালেমকে নিয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে অনেক দিন ধরেই সংঘাত চলছে। এটিকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে দুদেশই। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকাকে দখল করে ইসরায়েল।  পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকা নিয়ে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আশায় থাকা ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করতে চায়। ফিলিস্তিনিদের এই অবস্থানের প্রতি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সমর্থন রয়েছে।

news24bd.tv/মামুন