সাবেক যুক্তরাজ্যের পাইলটদের এনে নিজেদের সামরিক বাহিনীর দক্ষতা বাড়াতে চায় চীন। সে কারণে অবসর প্রাপ্ত পাইলটদের প্রচুর অর্থের প্রলোভন দেখাচ্ছে দেশটি। এমনটিই দাবি করছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরইমধ্যে চীনের আর্থিক প্রলোভনে সারা দিয়েছে ৩০ জন সাবেক ইউকে সামরিক পাইলট।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘প্রশিক্ষণ এবং পাইলটদের নিয়োগে যুক্তরাজ্যের বর্তমান আইন লঙ্ঘন হয়নি। তবে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের কর্মকর্তারা এই কার্যকলাপকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ পাইলটদের ব্যাপারে চীনের আগ্রহের কারণ, পশ্চিমা বিমান এবং পাইলটরা কীভাবে কাজ করে তা বোঝা। তবে তাইওয়ানের মতো কোনো সংঘর্ষের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে ধারণা করছে পশ্চিমারা।
একজন পশ্চিমা কর্মকর্তা বলেন, ‘চীনা সামরিক বিমান বাহিনীর কৌশল এবং সক্ষমতা বিকাশে সাহায্য করার জন্য পশ্চিমা পাইলটদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা গ্রহণ করেছে তারা। আমরা এটিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে দেখেছি। এটি একটি চলমান সমস্যা। চীন বর্তমান কর্মরত কর্মীদেরও টার্গেট করছে তবে বিষয়টি স্বীকার করছে না কেউ। ’
তবে যুক্তরাজ্যের পাইলটদের ব্যাপারে খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘আমরা চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য হেডহান্ট সার্ভিসিং ও চীনা নিয়োগ প্রকল্পগুলি বন্ধ করার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি। সকল কর্মরত এবং প্রাক্তন কর্মী ইতিমধ্যেই অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীন এসেছেন। আমরা প্রতিরক্ষা জুড়ে গোপনীয়তা চুক্তি এবং অ-প্রকাশনা চুক্তির ব্যবহার পর্যালোচনা করছি। ’
news24bd.tv/আমিরুল