কাজ দেওয়ার কথা বলে দুই নারীকে মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধ পল্লিতে পাচার  

সংগৃহীত ছবি

কাজ দেওয়ার কথা বলে দুই নারীকে মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধ পল্লিতে পাচার  

ভাস্কর সরদার, কলকাতা থেকে 

ভারতে কাজ দেওয়ার নাম করে দুই বাংলাদেশি নারীকে বিক্রি করে দেওয়া হয় মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধ পল্লিতে। কৌশলে পালিয়ে তারা সেখান থেকে যান পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায়। এরপর পুরাতন মালদার মুচিয়া এলাকার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পারাপার হওয়ার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ এর  হাতে ধরা পড়েন।  তাদের একজনের বাড়ি নাটোর এবং অপরজনের বাড়ি ফরিদপুরে।

 

সোমবার ভোররাতে এ ঘটনার পর, ওই দুই বাংলাদেশিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। এ দিন সকালে গ্রেফতার ২ বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার জন্য তাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। দুই বাংলাদেশি নারী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত একমাস আগে মালদার আদমপুর বর্ডার দিয়েই নদীপথ হয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন।

ওই দুই নারী আদালত জানান, গত একমাস আগে বাংলাদেশি এক দালাল চক্রের খপ্পরে পড়েন।

সেই দালাল চক্র তাদের বলেছিল, মুম্বাইয়ে এক ধনী ফ্ল্যাটে মোটা টাকার পরিচারিকার কাজ দেবেন। এরপর সেই লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশি দালাল চক্র তাদের ভারতের নারীপাচার চক্রের কাছে তুলে দেয়। সেই পাচারকারীদের সঙ্গে মুম্বাই যান তারা।

তারা আরও জানান, কিছুদিন থাকার পর তারা বুঝতে পারেন, তাদের নিষিদ্ধ পল্লিতে দেড় লাখ রুপি করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর তারা পরিকল্পনা করেন, যে করেই হোক বাংলাদেশে ফিরে যাবেন। পরে তারা ১৪ অক্টোবর মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধ পল্লি থেকে কৌশলে পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মালদায় ফিরে আসেন। এরপর সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করলে বিএসএফ কতৃপক্ষের নজরে আসে। সন্দেহজনকভাবে ওই দুই নারীকে ঘোরাফেরা করতে দেখেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপরই সব বিষয় প্রকাশ্যে আসে।

ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, দেশে আমাদের পরিবারের খুবই অভাব। একটা কাজ চেয়েছিলাম, টাকা রোজগার করবো বলে। কিন্তু দালালদের খপ্পরে এভাবে পড়ে যাবো, ভাবতে পারিনি। প্রশাসনের কাছে তাদের আবেদন, আইনগতভাবে তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই বাংলাদেশি নারীকে আদালতে তোলার পাশাপাশি, কোন দালাল চক্র ভারত সীমান্তে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

news24bd.tv/ইস্রাফিল