পাহাড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের বিষয়ে যা জানালেন পার্বত্য মন্ত্রী

পাহাড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের বিষয়ে যা জানালেন পার্বত্য মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগে জানলে পার্বত্য অঞ্চলে জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করার কোনো সুযোগ পেতো না বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আগে জানলে এটা হতে দেxয়া হতো না। কেবল পার্বত্য অঞ্চলই নয়, সারাদেশে জঙ্গিরা সুযোগ পেলে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারে।

রাষ্ট্রদ্রোহীদের কোনোভাবেই আশ্রয় দেওয়া যাবে না।  যেভাবেই হোক তাদের কার্যক্রম প্রতিহত করার ঘোষণাও দেন মন্ত্রী।

এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকলাপের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণ তথা পাহাড়ি বাঙালিরা সবাই তৎপর আছে।

জঙ্গি সংক্রান্ত কোনো তথ্য পেলে জনগণ যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। নতুন জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ মাথাচাড়া দেওয়া সংগঠনটি এখন ভয়ঙ্কর রূপে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করছে।

সূত্র আরও জানায়, স্বাধীন বাংলাদেশের ভূখণ্ড বিচ্ছিন্ন করার নীলনকশাও বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। পাহাড়ি সংগঠন ‘কেএনএফ’ এরই মধ্যে নিজস্ব পতাকা বানিয়েছে। তৈরি করেছে মনগড়া মানচিত্র। এসব বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তথা আলাদা রাজ্য বা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী-পুরুষের সমন্বয়ে গড়েছে প্রশিক্ষিত নিজস্ব বাহিনী, যাদের দেওয়া হয়েছে সামরিক বাহিনীর আদলে কমান্ডো প্রশিক্ষণ।

র‍্যাব জানায়, উগ্রবাদে সায় দিয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় ১৯ জেলার ৫৫ তরুণ। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’। যার বাংলা অর্থ- পূর্বাঞ্চলীয় হিন্দের জামাতুল আনসার। এই সংগঠনের আহ্বানে বাড়ি ছাড়ে তরুণরা।

news24bd.tv/FA