নারী প্রার্থীর স্বামীকে অপহরণ, ৬ যুবলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

সংগৃহীত ছবি

নারী প্রার্থীর স্বামীকে অপহরণ, ৬ যুবলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ার শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর স্বামীকে চাঁদার দাবিতে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। এ সময় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় যুবলীগ নেতাকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ওই প্রার্থীর স্বামী ভুক্তভোগী আব্দুল হালীম মল্লিক বাদী হয়ে গ্রেপ্তার ছয় যুবলীগ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও সাত-আট জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ছোনকা গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে মো. ফেরদৌস জামান মুকুল (৪৩), পাশের গোয়ালজানি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে যুবলীগ কর্মী মো. আল আমিন (৩৪), ছোনকা গ্রামের মোকছেদ আলীল ছেলে মো. আব্দুস সাত্তার (৩০), শেরপুর শহরের নয়াপাড়া এলাকার এলু মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৩০), শ্রীরামপুর পাড়ার সাজু মিয়া (৩২) ও মো. সবুজ (২৮)।

মামলার বাদী উপজেলার ছোনকা গ্রামের ভুক্তভোগী হালীম মল্লিক জানান, তার স্ত্রী সুইটি মল্লিক বগুড়ার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য একটি প্রাইভেটকারে শেরপুর শহীদিয়া আলীয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন।

তিনি জানান, একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর শহরের ধুনটমোড় এলাকায় পৌঁছে কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় যুবলীগ নেতা ফেরদৌস জামান মুকুলের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবলীগ নেতাকর্মী তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে তুলে নিয়ে যায় আটক হওয়া যুবলীগ নেতাকর্মীরা।

শেরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেন বলেন, খবর পেয়েই অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে তৎপরতা চালানো হয়। একপর্যায়ে ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে শেরপুর শহরের উলিপুর এলাকার একটি ফাঁকা মাঠ থেকে হালিম মল্লিককে উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।

শেরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, নারী প্রার্থীর স্বামীকে অপহরণ ও চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলার এজারহারভুক্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ফেরদৌস জামান মুকুল নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, হালীম মল্লিকের কাছে আমাদের ব্যবসায়িক কিছু টাকা পাওনা রয়েছে। কিন্তু সেই পাওনা টাকা না দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হালীম মল্লিক এলাকা ছাড়া হয়েছেন। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। জেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে তাকে দেখতে পেয়ে অন্যত্র ডেকে নেওয়া হয়েছিল। তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।

news24bd.tv/ইস্রাফিল