সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে এক নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ওই নারীর প্রেমিকসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে আশুলিয়ার নবীনগরে র্যাব কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- আশুলিয়ার হাকিমপট্টি এলাকার চা-দোকানি নিহতের প্রেমিক রেজাউল করিম, একই এলাকার রিকশাচালক মো. সামিউল ও কাপড় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ (সিপিসি-৩)-এর মানিকগঞ্জের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, গত ১১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) আশুলিয়ার হাকিমপট্টি এলাকার বাসিন্দা পলমল গার্মেন্টেসের শ্রমিক পলি বেগম কারখানা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। অনেক জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি সহকর্মী ও স্বজনরা। পরে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে শ্রীখন্ডিয়া এলাকার একটি নির্জন স্থান থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে গভীর কূপে গলিত মরদেহ দেখতে পান পলমল গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
এ ঘটনায় নিহতের বোন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করলে ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব।
হত্যার মোটিভের বিষয়ে আরিফ বলেন, দুই সন্তানের মা পলির সঙ্গে প্রতিবেশী চায়ের দোকানদার রেজাউলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু রেজাউলের দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও পলি বিয়ের জন্য তাকে চাপ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে পলিকে হত্যার পরিকল্পনা করে রেজাউল। নিজের চায়ের দোকানে বসেই রিকশাচালক বন্ধু সামিউল ও সফিউলকে নিয়ে পলিকে হত্যার ছক আঁকে তারা। ১১ অক্টোবর বিয়ের কথা বলে পলিকে শ্রীখন্ডিয়া এলাকায় ডেকে নেয় রেজাউল। পরে রেজাউল ও তার দুই বন্ধু মিলে পলিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে জবাই করে মরদেহ পরিত্যক্ত গভীর কূপে ফেলে দেয় তারা।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে হত্যায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে আশুলিয়ার শ্রীখন্ডিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রেজাউল ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ আসামিদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে।
news24bd.tv/আমিরুল