৩৪ দিন পায়ে হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষ করেছেন নেপালি যুবক ইহ। দক্ষিণবঙ্গের টেকনাফ থেকে যাত্রা শুরু করে উত্তরবঙ্গের তেঁতুলিয়ায় এসে ভ্রমণ শেষ করেন। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কাজ সম্পন্ন করে নিজ দেশ নেপালে ফিরে গেছেন ইহ।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে যাত্রা শুরু করেন ইহ।
২৭ বছর বয়সী যুবক ইহ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর থাপাথালি এলাকার বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণে আগ্রহী তিনি। শখ থেকেই হেঁটে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছেন তিনি। ভ্রমণই নাকি তার জীবন। তিনি গত পাঁচ বছরে তিনটি দেশ নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভারত প্রায় ১৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন।
ইহ জানান, হেঁটে বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুরো নেপাল ভ্রমণ করেন। পরে ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের কারগিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সমগ্র ভারত ভ্রমণ করেন। সেখানে এক মাস বিশ্রাম নিয়ে শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ শেষে চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছান। টানা ৩৪দিন বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষ করে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন রুট দিয়ে নেপালে ফিরে যাচ্ছেন। দেশে গিয়ে পরবর্তী ভ্রমণের রোডম্যাপ নির্ধারণ করবেন। তবে হেঁটে বিশ্বভ্রমণের পরবর্তী পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ভ্রমণ করবেন বলে জানান তিনি।
ইহ আরও জানান, বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশ ভ্রমণ। এ নিয়ে চারটি দেশে মোট ১৪ হাজার কিলোমিটার পথ সম্পন্ন হলো তার।
ইহের ভ্রমণসঙ্গী হোমায়েদ ইসহাক মুন বলেন, নেপালি পর্যটক ইহ আমার বন্ধু। আমি পর্বতারোহী। নেপালের এভারেস্ট বেজক্যাম্পে যাওয়ার পরে কাঠমান্ডুতে ইহর সাথে আমার পরিচয় ঘটে। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব। ইহ আমার সাথে যোগাযোগ করে বলে হেঁটে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভারত পাড়ি দেওয়ার পর বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে চান। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকায় আসার পর আমি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তার সাথে ১৩দিন হেঁটে আজ শুক্রবার দুপুরে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনে গিয়ে বিদায় জানাই। ইহকে খুব মিস করব।
news24bd.tv/আজিজ