খুলনায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, উপকূল প্লাবিতের আশঙ্কা

সংগৃহীত ছবি

খুলনায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, উপকূল প্লাবিতের আশঙ্কা

খুলনা প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকেই ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে খুলনার কয়রা হরিণখোলা ও গাতিরঘেরি বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই উপজেলায় প্রায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে ১৫টি পয়েন্ট দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে।

এখানে ৫টি ইউনিয়নের মানুষ আতংকে সময় পার করছেন।

এছাড়া দাকোপ ও পাইকগাছায় আরও ১৫ কি.মি. বাঁধ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। দাকোপে মুজামনগর, খলিসা, লক্ষ্মীখোলা পয়েন্টে বাঁধ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুপুরে জোয়ার শুরু হলে বাঁধের ওপর পানির মূল চাপ বাড়বে।

খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়রার হরিণখোলা ও গাতিরঘেরির বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের নিয়ে মেরামত কাজের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া কয়রায় হোগলা, দোশহালিয়া, মদিনাবাদ লঞ্চঘাট, ঘাটাখালী, গাববুনিয়ার, আংটিহারা, ৪নং কয়রা সুতির গেট ও মঠবাড়ির পবনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে স্ব স্ব এলাকার বাঁধের দিকে খেয়াল রাখার জন্য। সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় দাকোপে জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে। কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। কোথাও বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে বা বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করলে জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের কাজ করা হবে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের প্রধান কর্মকর্তা মো. আমিরুল আজাদ জানান, রবিবার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ৪৪ মিলিমিটার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এসময় মাঝে মধ্যে ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম কক্সবাজার এবং এসবের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।  

news24bd.tv/আজিজ