বাগেরহাটে বাঁধ ভেঙে ৪ শতাধিক বাড়ি প্লাবিত

সংগৃহীত ছবি

বাগেরহাটে বাঁধ ভেঙে ৪ শতাধিক বাড়ি প্লাবিত

বাগেরহাট প্রতিনিধি  

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাট সদর উপজেলায় বন্য নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪ শতাধিক বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভেঙে যায় বেড়িবাঁধ। এতে উপজেলার মাঝিডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়ে।  

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা বাড়ি ভেঙে যায়।

সঙ্গে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা উপড়ে যায়। সুন্দরবনের দুবলা, কটকা, শ্যালা, কোকিলমুনিসহ ৭টি মিঠা পুকুরের পাড় ভেঙে লবণ পানি প্রবেশ করেছে। এতে বন্যপ্রাণীর সুপেয় পানির উৎস নষ্ট হয়েছে।  

এছাড়া কটকা রেস্ট হাউজসহ কোকিলমুনি ও কটকা বন অফিসের সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পানির তোড়ে শ্যালা বন অফিসের জব্দ করা একটি গাছের লট ভেসে গেছে।  

টানা বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে জেলার ৫২৫টি মাছের ঘের ও ২২৫টি পুকুর। জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের হিসেবে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলায় মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।  

এছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় ১ হাজার ৩৮৫ হেক্টর রোপা আমন ধান ও রবি-শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে রোপা আমন ৮৫০ হেক্টর, সবজি ৩৭৫ হেক্টর, কলা ১১০ হেক্টর, মরিচ ২০ হেক্টর, পান ১৭ হেক্টর, পেঁপেসহ অন্যান্য ১৩ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে, টাকায় ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি কৃষি বিভাগ।  

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলার ৯টি উপজেলায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে জেলার অধিকাংশ গ্রাম মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।  

news24bd.tv/হারুন