টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শোকাবহ ১৫ই আগস্ট আজ। জাতীয় শোক দিবসে। বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করছে জাতি। আজ সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।  
বুধবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

গোপালগঞ্জের মাটি আর আলো-বাতাস গায়ে মাখিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান; হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু থেকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট কাল রাতে জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে ঘাতকের বুলেটে প্রাণ দিতে হয়।

সেই থেকে আপন আবাস টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত তিনি।

জাতির পিতার ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । জাতির পিতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় সশস্ত্র সালাম জানায় সামরিক বাহিনীর একটি চৌকস দল। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। বাবার কবরের পাশে নিরবে অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  চোখে-মুখে ভেসে ওঠে বিষাদের ছায়া।  স্বজন হারানোর কষ্ট। বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পাঠ করেন। পাশে ছিলেন ছোটো বোন শেখ রেহানা, জামাতা আর দুই নাতনী।

এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা। শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। এর পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন জাতির পিতা।  

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনের ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত বলে মনে করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানসহ তৎকালীন পদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এসময়, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অন্তরালে যারা জড়িত ছিল, সেই তথ্য জাতির সামনে উন্মোচন করতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানান শেখ সেলিম।

পরে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যসহ সর্বসাধারণের সাথে মিলাদ মাহফিলে দোয়া করেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর পর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। এ সময় তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর