পেস বোলিং শক্তি কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ

পেস বোলিং শক্তি কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কেমন। পার্থে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে যে মানের ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিতেছে, তাতে সাধারণ সমর্থকদের আতঙ্কিত হওয়ারই কথা। ১৩০ রানের পুঁজি নিয়ে সেটাকে ডিফেন্ড করা চাট্টিখানি কথা নয়। সেই কাজটিই করে দেখিয়েছেন জিম্বাবুয়ে বোলাররা।

সত্যিই দুর্দান্ত বোলিং করেছে দলটি। সিকান্দার রাজা বাছাই পর্ব থেকেই অসম্ভব ভালো বোলিং করছেন। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচ খেলে দুটিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা বিরাট অর্জন তাঁর জন্য। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও এখন পর্যন্ত সিকান্দারের মতো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি।

বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের মতো দল হিসেবেও খেলতে পারেনি। সেরা ছন্দে থাকা এমন একটি দলকে হারানো যে সহজ ব্যাপার নয়, সমর্থকরা তা ভালো করেই বুঝতে পারছেন। সবার মধ্যে তাই আতঙ্কের চোরা স্রোত বয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। যদিও বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অত কিছু ভাবছেন না। তাঁরা বরং গ্যাবার স্পোর্টিং উইকেটে পেস বোলিং ইউনিটের শক্তি কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতে সেমির রেস জমিয়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  

সুপার টোয়েলভে 'এ' গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে দুটি করে ম্যাচ খেললেও পয়েন্ট তালিকায় পরিস্কার একটা ব্যবধান তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির আশীর্বাদ পেয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে জিম্বাবুয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে। বাংলাদেশ তাদের নিচে, পাকিস্তান সবার শেষে। রোববার ব্রিসবেনে বাংলাদেশ জিতে গেলে গ্রুপ এ-এর লড়াইটা অন্য উচ্চতা পাবে। এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কেমন, জানতে চাওয়া হলে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, 'এটা টি২০ ক্রিকেট, কোনো একটা ম্যাচে এমন হতেই পারে। স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।  

নামিবিয়ার কাছে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন দলকে নামিবিয়া হারাবে, কেউ কল্পনা করেছিল! পাকিস্তানের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের জিতে যাওয়ার মানে এই নয়, তারা সেরা দল। মানছি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি। আশা করি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলব। '

জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান ম্যাচটি হোটেলে বসে দেখেছেন সাকিবরা। শ্রীধরন শ্রীরাম ম্যাচ বিশ্নেষণ করেছেন। গতকাল তো ব্রিসবেনে পৌঁছেই পুরো দল ম্যাচ ভেন্যু গ্যাবায় চলে গেছে উইকেট এবং আউট ফিল্ড দেখার জন্য। ২০১৫ সালে গ্যাবায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। সেবার ম্যাচ খেলা না হলেও গ্যাবার ইনডোরে অনুশীলন করার অভিজ্ঞতা আছে সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকারদের।  

লিটন কুমার দাসরা না খেললেও ব্রিসবেনের কন্ডিশনিং ক্যাম্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবেন। সুপার টোয়েলভের আগে ১৫ থেকে ২১ অক্টোবর অ্যালান বোর্ডার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন ছিল তাঁদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে বাংলাদেশ। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে উৎসবের উপলক্ষ তৈরি হতে পারে ব্রিসবেনে।

news24bd.tv/কামরুল