‘জীবনে প্রথমবারের মতো বোনকে নিয়ে মোরবির ঝুলন্ত ব্রিজে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বেশ কাটছিল সময়। মুহূর্তগুলো মোবাইলে ধারণ করে রাখছিলাম। কিন্তু হঠাৎই ভেঙে পড়ে ব্রিজটি।
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে রোববার সন্ধ্যায় একটি সেতু ধসে অন্তত ১৪১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানে শত শত মানুষ ছিল। আমি প্রথমবারের মতো এই সেতুতে আরোহণ করেছি। আমার বোন এবং আমি আমাদের মোবাইলে ছবি তুলচ্ছিলাম। হঠাৎ ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। আমি এবং আমার বোন পানিতে পড়ে যায়। আমি বেঁচে গিয়েছিলাম কিন্তু আমার বোন এখনও নিখোঁজ। ’
তিনি কাঁদতে কাঁদতে আরও বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা থেকে বোনকে খুঁজছি। আমি সরকারি হাসপাতালে গিয়েছি, সব জায়গায় খোঁজ করেছি, কিন্তু আমার বোনকে কোথাও পাওয়া যায়নি। ’
এর আগে সেতুটিতে সংস্কারকাজ হওয়ার চার দিন পরই এটি ভেঙে পড়ে। গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এএনআই জানিয়েছে, এ ঘটনায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় আইজিপিকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, দুর্ঘটনার সাথে সাথে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী, ফায়ার ব্রিগেডসহ উদ্ধারকারীরা মাচ্চু নদীতে হতাহতদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণ করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্য সরকারও নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে চার লাখ এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
প্রায় ১৫০ বছর আগে নির্মিত মোরবির ঝুলন্ত এই সেতু ভারতের ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায়ও রয়েছে। গুজরাটের স্থানীয় নববর্ষ উপলক্ষে মেরামতের পর গত চারদিন আগে (২৬ অক্টোবর) সেতুটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।
news24bd.tv/আমিরুল