দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২ ভাগ

দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২ ভাগ

বাবু কামরুজ্জামান

গেল এক বছরে দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২ ভাগ। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, ই-কমার্সে যাওয়া ২০ ভাগ অর্থই লোপাট হয়েছে।  সোমবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় সংস্থাটি।

নিয়ম অনুযায়ী ১০ লাখ টাকার ওপরে যে কোনো নগদ লেনদেনের তথ্য জানাতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এর বাইরে যে কোনো সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়েও এসটিআরের মাধ্যমে জানানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু হিসেব বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে আট হাজার ৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য জমা পড়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে।  

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘সব সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) অপরাধ নয়।

লেনদেন সন্দেহজনক হলে তদন্ত ক‌রি। এরপর য‌দি কো‌নো অপরা‌ধের তথ্য প্রমাণ ‌মিলে তাহলে আমরা তাদের বিরু‌দ্ধে ব্যবস্থা নি‌ই। এ পর্যন্ত অনেক ব্যাংক ও আ‌র্থিক প্র‌তিষ্ঠানের গ্রাহক ও সং‌শ্লিষ্ট‌দের বিরু‌দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ’

ব্যাংকের বাইরে রেমিটেন্স আনা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। তবে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে। এমন ১২টি প্রতিষ্ঠানের হিসেব পর্যালোচনা করে বিএফআইইউ বলছে, এ খাতের আসা অর্থের ৬৬ ভাগ পেয়েছে পণ্যের মূল মালিক। সাত ভাগ অর্থ নগদ লেনদের হওয়ায় তার কোনো হদিস মিলছে না। তবে প্রমাণ মিলেছে অর্থ লোপাটের।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, চিহ্ণিত সকল অপরাধের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গত বছর ৮৩৩টি তথ্য দেয়া হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে। একই সঙ্গে দেশ থেকে কি পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে সে বিষয়ে সুনিদিষ্ট তথ্য না দিতে পারলেও, টাকা পাচারের ধরণ চিহ্ণিত হয়েছে। তারা জানায়, মুদ্রা পাচার বিরোধী বৈশ্বিক সূচকে চলতি বছর বাংলাদেশ আট ধাপ এগিয়ে ৪১ এ পৌঁছেছে।

news24bd.tv/কামরুল