কৃষ্ণ সাগরে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া

সংগৃহীত ছবি

কৃষ্ণ সাগরে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক

কৃষ্ণ সাগরের একটি নিরাপত্তা করিডোর ব্যবহার করে রুশ নৌবহরে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এমন অভিযোগে কৃষ্ণ সাগরে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া। ফলে এখন থেকে কৃষ্ণ সাগরের মধ্যে দিয়ে কোনো পণ্যবাহী রপ্তানি জাহাজ পাঠাবে না রাশিয়া। তবে অব্যাহত থাকবে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি বহনকারী জাহাজগুলি।

খবর বিবিসির।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এমন সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট আরও তীব্র হতে পারে। একইসাথে শস্য ও সার রপ্তানি বন্ধ হয়ে ব্যাহত হতে পারে ফসল উৎপাদন। যা হুমকির মুখে ফেলতে পারে গুটা বিশ্বকেই।

রাশিয়াকে তাই খুব শিগগিরিই তাদের নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল।

মস্কো কিয়েভের বিরুদ্ধে নৌবহরে হামলার অভিযোগ আনলেও তা অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। জাতিসংঘের দাবি, ওই দিন রাতে কৃষ্ণ সাগরের করিডোরের ভেতর কোনো জাহাজই ছিল না।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ বিষয়ে বলেন, ‘রাশিয়াকে ক্ষুধা নিয়ে বিশ্বকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ আনা হলেই চুক্তিটি সম্মানিত হবে। ’

রাশিয়ার চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার পর সোমবার শস্যসহ ৩ লাখ ৫৪ হাজার টন খাদ্য সমন্বিত ১২টি ইউক্রেনীয় জাহাজ কৃষ্ণ সাগর বন্দর ছেড়েছে। রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে ওডেসার সামরিক প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেন, শস্য চুক্তি শুরু হওয়ার পর থেকে এটি রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি। ৪০ হাজার টন শস্য বহনকারী জাহাজগুলোর মধ্যে 
একটি গন অনাহারে থাকা ইথিওপিয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পর কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলোতে অবরোধ আরোপ করা হয়। এবং দেশের অভ্যন্তরে রপ্তানি করার কথা বলা হয়। ফলে আটকা পড়ে ২০ মিলিয়ন টন শস্য, ভুট্টা ও সূর্যমুখী তেলসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য।

পরে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দিলে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে তুরস্ক এবং জাতিসংঘ। তাদের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করে দু’দেশ।

তবে সেটি অমান্য করেছে কিয়েভ এমন অভিযোগ আনেন পুতিন। সোমবার একটি টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘চুক্তিটি স্থগিত করা হচ্ছে, ক্রিমিয়ার বহরে ‘বিশাল’ ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। যেটির জন্য কিয়েভ দায়ী। সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে শস্য রপ্তানি বাস্তবায়ন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ইউক্রেনকে অবশ্যই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে বেসামরিক জাহাজের জন্য কোন হুমকি থাকবে না। ’

news24bd.tv/আমিরুল