ধনসম্পদ আল্লাহপ্রদত্ত নিয়ামত। এই নিয়ামতকে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করার অনুমতি আল্লাহ তাআলা দেননি। আমাদের সমাজে এমন অনেকে ধনসম্পদকে কোনো কাজে না লাগিয়ে এমনিতেই রেখে দেয়। যদি তা কোনো লাভজনক ব্যবসা বা অন্য কোনো প্রজেক্টে খাটানো হতো, তাহলে হয়তো এ থেকে মুনাফা পেত।
এভাবে সম্পদকে এমনিতেই ফেলে রাখার ব্যাপারে ইসলাম নিরুৎসাহিত করেছে। কারণ সম্পদকে যখন কাজে লাগানো হবে এর মাধ্যমে দেশ এবং জাতি লাভবান হবে। নিজেও এর মাধ্যমে সমৃদ্ধ হবে এবং অন্য এর মাধ্যমে উপকৃত হবে। একবার নবী (সা.) জনতার উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন।
এ কারণে আয়েশা (রা.) ব্যবসায়ীদের ব্যবসার জন্য এতিমদের মাল দিয়ে দিতেন। (যাতে ব্যবসায় খাটানোর মাধ্যমে তা বৃদ্ধি পায়) (মুআত্তা ইমাম মালিক, হাদিস : ৫৭৪)
তেমনি ফসলি জমি যেগুলো আবাদ করলে ফসল উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেসব জমি এমনিতেই চাষাবাদ ছাড়া ফেলে রাখার অনুমতি দেননি ইসলাম। জমিকে এভাবেই খালি রেখে দিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমিতে শাকসবজি, ফলমূল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস উৎপাদন করবে। এতে মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা খুব সহজেই নিশ্চিত হবে।
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার কাছে জমি আছে, সেটি চাষাবাদ করা উচিত। যদি সে নিজে তা না করে তবে যেন তার কোনো ভাইকে চাষাবাদ করতে দেয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৮০৯)