আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম: সব্যসাচী

সংগৃহীত ছবি

আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম: সব্যসাচী

অনলাইন ডেস্ক

ক্যানসারকে হারিয়ে অনেকটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছিলেন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। কিন্তু হঠাৎ আবার দুঃসংবাদ। ব্রেন স্ট্রোক করে এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রত্যেক লড়াইয়ে পাশে রয়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।

প্রেমিকার জন্য হাসপাতালেই রয়েছেন সব্যসাচী। গতকাল সোমবার ফেসবুক পোস্টে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার কথা জানান সব্যসাচী। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার এক শ্রেণির মানুষের প্রতি তীব্র ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি।

সব্যসাচী লেখেন, 'আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম।

'

নিউজ টোয়েন্টিফোরের পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো-

'হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।

আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক্ থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।

‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে। '

news24bd.tv/রিমু