ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ

সংগৃহীত ছবি

ভ্যাট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হয়রানির অভিযোগ

খুলনা প্রতিনিধ

ভ্যাট-ট্যাক্সে অব্যবস্থাপনার কারণে জুয়েলারি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক ভ্যাট কর্মকর্তারা অহেতুক হয়রানি করেন। নিজেদের ইচ্ছামতো জরিমানা ও ঘুষ আদায় করেন। বিভিন্নভাবে পুলিশও হয়রানি করছে।

এ অব্যস্থাপনার বিরুদ্ধে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের শক্ত অবস্থান নিতে হবে।

মঙ্গলবার খুলনা ইউনাইটেড ক্লাবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) জেলা কমিটির মতবিনিময় সভায় হয়রানির অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবি জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি সমরেশ চন্দ্র সাহা। প্রধান অতিথি ছিলেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিং কমিটির সহ-সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ইদানিং কাস্টমসের লোকেরা বিভিন্ন দোকানে গিয়ে গত মাসে যে পরিমাণ ভ্যাট দিয়েছে এবার তার দ্বিগুণ দাবি করছেন। তারা দোকানের খাতাপত্র সেল যাচাইয়ের নামে হয়রানি করছেন। তখন ভবিষ্যৎ হয়রানি থেকে বাঁচতে তাদের সঙ্গে আপোস করতে গেলে ঘুষের দিকে নিয়ে যায়। এই দুষ্ট চক্র ঘুষখোর দূষিত মানুষগুলো আমাদের ব্যবসায়ীদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশও হয়রানি করছে। এদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শক্ত অবস্থান রয়েছে। তিনি এরই মধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছেন। এখন জুয়েলারি ব্যবসায়ীদেরও সম্মিলিত শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে হবে। জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী, ৩ পারসেন্ট হারে ভ্যাট নির্ধারণ হলে সকলে সততার সাথে ভ্যাট প্রদান করবেন। কিন্তু ৫ পারসেন্ট হারে ভ্যাটের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক মনিটরিং কমিটির সহ-সম্পাদক জয়নাল আবেদিন খোকন, কার্যনির্বাহী সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ ও কাজী নাজনিন হোসেন।  

সভায় বক্তারা বলেন, বাজুসের দায়িত্ব নিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাজুসের হাত ধরে এখন সম্মানজনক অবস্থায় জুয়েলারি ব্যবসা। বাজুস অনেক পুরোনো সংগঠন কিন্তু সায়েম সোবহান আনভীর সভাপতি হওয়ার পর সংগঠনটি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাজুস শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

বাজুস উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল বলেন, জুয়েলারি সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তিনি ভ্যাট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ব্যবসায়ীরা ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে কিনা আপনারা খতিয়ে দেখুন। বিএসটিআই তারা মানসম্মত প্রোডাক্ট বিক্রি করছে কিনা দেখুক। কিন্তু কোন বাজুস সদস্যকে ভ্যাট প্রশাসন বিএসটিআইসহ অন্যান্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া অহেতুক হয়রানি করতে পারবে না। এটি বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা। আর এই ঘোষণা বাস্তবায়নে সারাদেশ এক।