যেভাবে ২৪ কেজি ওজন কমালেন যমজ সন্তানের মা

সংগৃহীত ছবি

যেভাবে ২৪ কেজি ওজন কমালেন যমজ সন্তানের মা

অনলাইন ডেস্ক

ওজন কমানো নিয়ে অনেকেই অনেক কিছু চেষ্টা করেও হয়তো আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না। ফলে ভুগছেন হতাশায়। প্রতিনিয়তই চিন্তায় থাকেন কীভাবে ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্যও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

রায়হান সুলতানা। তিনি একজন কর্মজীবী মহিলা। যমজ সন্তান হওয়ার পর তার ওজন ৪৬ থেকে বেড়ে ৭০ কেজি হয়ে যায়। সেখান থেকে ২৪ কেজি ওজন কমিয়েছেন।

এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানালেন কীভাবে ওজন কমালেন তিনি।

মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকতেই ওজন কমানোর মিশন শুরু করেন রায়হান সুলতানা।  যেহেতু সিজারিয়ান ডেলিভারির মাধ্যমে মা হয়েছেন, তাই খুব বেশি ভারী ব্যায়ামের দিকে না গিয়ে হাঁটা দিয়ে শুরু করেন বলে জানান রায়হান। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে বরাবরই সচেতন তিনি। এড়িয়ে চলেন ফাস্টফুড। সবজি খেতে খুব একটা ভালোবাসতেন না। তারপরও খাবারের অনেকটা জুড়ে রাখতেন সবজি। চেষ্টা করেন দুধ, ডিম আর বাদামের মতো খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে।

তিনি জানান, সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ঘুম ভাঙত তার। এরপর সকালের খাবার খেতেন ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে। খাদ্য তালিকায় থাকতো লাল আটার দুইটা রুটি, একবাটি সবজি আর একটা ডিম। ডিম কখনো সেদ্ধ, কখনো পোচ। এই খাবার একঘেয়ে লাগলে ব্রাউন ব্রেডের সঙ্গে কখনো পিনাট বাটার মেখে খেয়ে নিতেন।  

* এরপর ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এক কাপ কফি বা চা। রায়হান বলেন, 'চিনি ছাড়া চা খেতে পারি না। তাই একটু লাল চিনি মিশিয়ে নিতাম। '

* বেলা ১১টার দিকে কোনো একটা ফল খেয়েছেন। বেশির ভাগ সময়ই ফলটা হতো কলা।

* দুপুরের দিকে এক কাপ ভাতের সঙ্গে পর্যাপ্ত সবজি। সঙ্গে কখনো মাছ বা মাংস। কোরাল থেকে কাচকি- সব ধরনের মাছই খেয়েছেন। মাংসের মধ্যে শুধু মুরগি।

* বিকেলে খিদে পেলে কখনো কলা, না হলে একমুঠো বাদাম, কিশমিশ বা খেজুর খেয়ে নিতেন।

* দুপুরের খাবারের মতো একই ধরনের পদ থাকত রাতের খাবারে। রাতের খাবার সাড়ে সাতটার মধ্যে খেয়ে নিতে চেষ্টা করেছেন। রায়হান বলেন, 'রাতে আধঘণ্টা ট্রেডমিলে হাঁটতাম। এরপর এক গ্লাস দুধ খেয়ে ঘুমাতে যেতাম। এর বাইরে প্রচুর পানি খেতাম সারাদিন। '

তিনি বলেন, বাচ্চা যখন বুকের দুধ খায়, তখন মাকেও প্রচুর ভাত খেতে হবে বলে অনেকে মনে করেন। এই ধারণা একেবারেই ভুল। দুই বাচ্চাকেই বুকের দুধ খাওয়াতেন তিনি। যেহেতু যমজ, তাই মাঝেমধ্যে ফর্মুলাও দিতে হতো।

রায়হান বলেন, 'ডায়েট মেনে যেসব খাবার খেতাম, সেসবই ছিল পুষ্টিকর। ফলে বাচ্চাদের দুধ পেতে সমস্যা হতো না। '

এই জুনে কাজে যোগ দিয়েছেন রায়হান। বলেন, ‘সবকিছু সামলে ফিট থাকা আসলে খুব কঠিন কিছু নয়। এ জন্য প্রয়োজন একাগ্রতা ও ইচ্ছাশক্তি।

news24bd.tv/রিমু 

এই রকম আরও টপিক