সম্পত্তি নিয়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবারে দ্বন্দ্ব, অবহেলায় দিন কাটছে ধনকুবেরের
সম্পত্তি নিয়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবারে দ্বন্দ্ব, অবহেলায় দিন কাটছে ধনকুবেরের

শ্রীচাঁদ হিন্দুজা (ছবি:সংগৃহীত)

সম্পত্তি নিয়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবারে দ্বন্দ্ব, অবহেলায় দিন কাটছে ধনকুবেরের

অনলাইন ডেস্ক

ব্রিটেনে সবচেয়ে ধনী পরিবার ‘হিন্দুজা’। ৩৮ দেশে রয়েছে এই পরিবারের ব্যবসা। সম্পত্তি নিয়ে এই পরিবারের সদস্যদের মাঝে দ্বন্দ্ব দেখা গেছে। এর জেরে আদালতের শরণাপন্ন পরিবারের সদস্যরা।

এরপরেই পরিবারটি নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন তথ্য।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবার একটি তিক্ত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। এই পরিবারের অভিবাবক শ্রীচাঁদ পরমানন্দ হিন্দুজার যত্ন নিতে ব্যর্থ হয়েছেন অন্যান্য সদস্যরা। ৮৬ বছর বয়সী  শ্রীচাঁদ ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) রোগে ভুগছেন।

এ কারণে তার যত্ন ও চিকিৎসার জন্য সরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ব্রিটেনের কোর্ট অব প্রোটেকশনের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হেইডেন এ নির্দেশ দিয়েছেন। রায়ে তিনি বলেন, ‘যথেষ্ঠ সুযোগ ও আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিবার তার (শ্রীচাঁদ পরমানন্দ) সঠিক যত্নের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ কারণেই তাকে একটি পাবলিক (সরকারি) নার্সিং হোমে ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হলো। ’

বিচারপতি হেইডেন আরও বলেন, ‘তার জন্য উপযুক্ত আবাসন এবং যথাযথ যত্নের ব্যবস্থা করা হয়নি এবং তাকে তার নিজের পরিবারের সদস্যদের আচরণ দ্বারা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছে। প্রচুর সম্পদ, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শ্রীচাঁদের ক্ষেত্রে এই অযত্ন সত্যিই উদ্বেগজনক ও গভীরভাবে দুঃখজনক। ’

ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, হিন্দুজা পরিবারের মধ্যে চার ভাই রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়  শ্রীচাঁদ পরমানন্দ। চলতি বছরে এই পরিবারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৮ বিলিয়ন ইউরো। যা গত বছরের থেকে ১১ বিলিয়ন বেশি।

২০১৪ সালে চার ভাই (শ্রীচাঁদ, গোপীচাঁদ, প্রকাশ ও অশোক) একটি চুক্তিতে যেতে সম্মত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী, যে কোনো এক ভাইয়ের নামে থাকা সম্পদ চার ভাইয়ের। তবে পরের বছরই অর্থাৎ ২০১৫ সালে সুইজারল্যান্ডে হিন্দুজা ব্যাংকের একক মালিকানা দাবি করেন শ্রীচাঁদ এবং তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই সময় তিনি বলেন, আগে যে চুক্তি হয়েছে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।

ডিমনেশিয়া রোগের পর থেকেই শ্রীচাঁদের সবকিছু দেখাশুনা করছেন তার মেয়ে ভিনো। এমনকি মেয়ে পাওয়ার অব অ্যার্টনি দেয় শ্রীচাঁদ। এরপরেই গোপীচাঁদ তার বড় ভাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্ত হন। তার দাবি ছিল, মেয়েকে ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিতর্কিত, কারণ তিনি ডিমনেশিয়া রোগের সময় এমনটা করেছেন।

ভাইদের এই যুদ্ধ শেষ হয় গত জুনে। তখন গোপীচাঁদের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পরিবারের সদস্যরা চুক্তিতে যেতে সম্মত হয়েছে। আর এখন সেই রায় প্রকাশ্যে এসেছে।

news24bd.tv/মামুন