ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি

ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না ঈদ যাত্রীদের

মহাসড়কে যানজট, রেলে সিডিউল বিপর্যয়

ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছে না। রাজধানী থেকে সড়কপথে বের হওয়া থেকে শুরু করে পথে পথে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঈদ যাত্রীরা। শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এবং ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে যাওয়ার সময় বিভিন্ন পয়েন্টে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়।

রেলওয়েতেও সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।

এতে কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের জন্য রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দরসহ অন্যান্য স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ সময় যাত্রীদের বসে থাকতে হয়েছে। এছাড়া মাওয়া (শিমুলিয়া)-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফেরি চলাচল বেড়েছে। এ রুটে নাব্য সংকট দূর হওয়ায় এদিন ১৬টি ফেরি চলাচল করেছে। তবুও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গাড়ির জট ছিল।

যাত্রীরা জানান, প্রচণ্ড গরমের তীব্রতার মধ্যে সড়ক ও ফেরি ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের। এ সময় অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে অনেকটা স্বস্তিতে গেছেন দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চের যাত্রীরা। এ পথে যাত্রী বাড়ার সঙ্গে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে ঈদযাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিপ্ততরগুলো। একই ভাবে স্থানীয় প্রশাসনও নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি ও মেঘনা সেতুর নিচে বিকল্প হিসেবে ফেরি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

পশুবাহী গাড়ি দ্রুত পারাপারের সুবিধার্থে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় পৃথক ফেরি চালু করা হয়েছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরি রুটের নাব্য সংকট সমাধানে ড্রেজিং অব্যাহত রয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রোড ও ফেরি ঘাটের যানবাহন চলাচলের পরিস্থিতি সম্পর্কে র‌্যাব শনিবার বেলা ৩টার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মেঘনা ও দাউদকান্দি ব্রিজ, মাওয়া-কাঁঠালবাড়ী ঘাট ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে তীব্র যানজট ছিল।

তবে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা-সিলেট রুটে সহনশীল যানজট ছিল। অপরদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, পশুবাহী গাড়ির কারণে সড়কে যানবাহনের চাপ ছিল। সবগুলো সড়ক-মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করেছে। কোথাও বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়নি।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর