যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করলেন আইএমএফ প্রধান
যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করলেন আইএমএফ প্রধান

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করলেন আইএমএফ প্রধান

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বে চলমান সংকটের মাঝেই একের পরে এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দেশটিকে সতর্ক করলেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল -আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।

ক্রিস্টালিনা বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য বিশ্ব অর্থনীতির বিভাজিত হয়ে পড়ছে। যা প্রতিটা দেশের ওপরেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরির প্রচেষ্টা চালাছে। যা বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

শনিবার গণমাধ্যমে এক সাক্ষাতকারে ক্রিস্টালিনা বলেন, 'আমার উদ্বেগের বিষয় হল, যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি গভীর বিভাজনের সৃষ্টি করতে চলেছে। আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বিচরণ করছি যেটা আমাদের জন্য অনিরাপদ ও তুলনামূলক অতি দরিদ্র।

'

ক্রিস্টালিনা জানান, যদি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জোরালো হয় তাহলে বিশ্ব অর্থনীতি কঠিন হুমকির মুখে পড়বে। এর ফলে বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বার্ষিক ১.৫ শতাংশ বা ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো কমে যাবে। যার ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্বিগুণ ক্ষতির মুখে পড়বে এশিয়ার দেশগুলো।

আইএমএফ প্রধান আরও জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের আরোপিত চীনা পণ্যের উপর শুল্ক যেটা জো বাইডেনের সময়েও বলবত রয়েছে। কিন্তু চীন থেকে আমদানিকৃত এসব পণ্যের বিকল্প কিছু এখনও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি হয়নি। এসময় ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের জন্য মস্কোর উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উপেক্ষা করে যান আইএমএফ প্রধান।

'শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং এর বিপরীতে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র কী তৈরি করতে পারবে তা সাবধানতার সাথে চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দৈত্য একবার কুপির বাইরে বের করে আনার পরে তা বোতলের ভেতরে ঢোকানো কঠিন'- যোগ করেন ক্রিস্টালিনা।

যদিও, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সরাসরি বিভাজন কখনোই ঘটবে না বলে আশা প্রকাশ করেন আইএমএফ প্রধান। কারণ, বিশ্বের এই দুই শীর্ষ অর্থনীতির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য বর্তমানে ৬০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এবং তারা একে অপরের সাথে অর্থনৈতিকভাবে গভীর সম্পর্কযুক্ত।  সূত্র: আরটি

news24bd.tv/FA