যুক্তরাজ্যে এলএনজির প্রথম চালান পাঠাল মোজাম্বিক

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাজ্যে এলএনজির প্রথম চালান পাঠাল মোজাম্বিক

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের ১০টি জ্বালানি সরবরাহকারী দেশের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠছে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। দেশটির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তরল গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানির সামর্থ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক গণমাধ্যম।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মোজাম্বিক তার প্রথম তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চালান পাঠিয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি ফিলিপ নুয়েসি। তিনি বলেন, এলএনজির প্রথম চালান দেশটির নৌবন্দর ছেড়ে গেছে।

রোববার বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক ভিডিও সাক্ষাতকারে ফিলিপ জানান, 'আজ মোজাম্বিক এলএনজি রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিশ্ব ইতিহাসে প্রবেশ করলো। ' জ্বালানির প্রথম চালান যাচ্ছে ব্রিটিশ কোম্পানি বিপি'তে। যার সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইতালির কোম্পানি 'এনি'।

সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে মোজাম্বিকের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত রয়েছে।

বলা হচ্ছে সেখানে প্রায় ২.৮ ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস মজুদ রয়েছে যা বিশ্বে মজুদ মোট গ্যাসের ১ শতাংশ। ২০১০ সালে দেশের উত্তর কাবো ডেলগাডো প্রদেশে আবিষ্কৃত হয় এ গ্যাস ক্ষেত্র। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই দেশটি বিশ্বের শীর্ষ গ্যাস রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে চলে আসতে পারে।

স্ট্যাটিস্টা ডট কমের তথ্যানুযায়ী, আলজেরিয়া এবং নাইজেরিয়ার পরে মোজাম্বিক আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি রপ্তানিকারক হতে পারে। কারণ, কোরাল সুল গ্যাসক্ষেত্রে বছরে ৩.৪ মিলিয়ন টন এলএনজি উৎপাদন করতে পারে। যদিও বর্তমানে মোজাম্বিকের তিনটি বড় প্রকল্পের মধ্যে এই প্ল্যান্টটি অন্যতম।

অন্য দু'টির মধ্যে একটি ফ্রান্সের টোটাল এনার্জিস এবং মার্কিন তেল জায়ান্ট এক্সনমোবিল দ্বারা পরিচালিত। যেগুলো দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে আপাতত বন্ধ রয়েছে।

তেল বিপণন সংস্থা এনির নির্বাহী পরিচালক ক্লাউডিও ডিসালজির মতে, এটি মোজাম্বিকের জন্য এক 'গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ'। যেটা ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখতে পারে। কিছুক্ষেত্রে যেটা রাশিয়ার বিকল্প হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা তার।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক