বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যসূচিতে ড. মোস্তাফিজুর রহমানের গবেষণা গ্রন্থ

বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যসূচিতে ড. মোস্তাফিজুর রহমানের গবেষণা গ্রন্থ

অনলাইন প্রতিবেদক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হল সাংবাদিক, শিক্ষক, গবেষক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাংস্কৃতিক-নৃতাত্ত্বিক গবেষণা গ্রন্থ ‘খাসি উইমেন ইন বাংলাদেশ’।

বাংলাদেশের খাসি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বিশেষ করে খাসি নারীদের পরিবর্তনশীল ক্ষমতা কাঠামোর ওপর রচিত এই বইটি ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রেফারেন্স গ্রন্থ হিসেবে পড়ানো হচ্ছে। এর আগে একাডেমিক রীতি অনুযায়ী কমিটি অব কোর্সেস এর বিশেষজ্ঞ সদস্যরা বইটি বিভাগের পাঠ্যসূচিতে যুক্ত করার সুপারিশ করেন।

বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ‘খাসিয়া’ জনগোষ্ঠী অন্যতম।

এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসিন্দারা নিজেদের ‘খাসি’ হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। একাডেমিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তাদের ‘খাসি’ জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচয় করানো হয়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী চৌধুরী জানান, সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্বের অন্যতম শাখা হল ফোকলোর বা লোকসংস্কৃতি বিজ্ঞান। ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীসমুহের সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনধারা ও পরিচয় নিয়ে অধ্যয়ন এবং গবেষণা করতে হয় উল্লেখ করে ড. শিবলী চৌধুরী বলেন, ‘উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ তথা সিলেট অঞ্চলে বসবাসরত খাসি জনগোষ্ঠীর ওপর রচিত ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানের গবেষণা গ্রন্থটি শিক্ষার্থীদের এই নৃগোষ্ঠী সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানা-বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

'

সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বইটি ইংরেজি ভাষায় সহজ করে লেখা হয়েছে। বইটির রচয়িতা ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপনায় যুক্ত হবার আগে ড. রহমান দু’দশক দেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে তিনি মিঠুন মোস্তাফিজ হিসেবে বেশি পরিচিত।

মাঠে সাংবাদিকতার পাশাপাশি মিঠুন মোস্তাফিজ সাংস্কৃতিক নৃ-তত্ত্বে বিশেষত: সিলেটের মৌলভীবাজার জেলায় বসবাসরত ‘খাসি’ জনগোষ্ঠীর ওপর এমফিল গবেষণা করেন। তার এমফিল অভিসন্দর্ভটি কিছুটা সংক্ষেপ করে ২০২০ সালে গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ করে ভারতের কলকাতার সোম পাবলিশিং।

news24bd.tv/FA