ইউক্রেন সীমান্তবর্তী পোল্যান্ডের একটি গ্রামে রাশিয়ার তৈরি মিসাইল বিস্ফোরিত হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবারের (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন দুজন। এ ছাড়া ধ্বংস হয়েছে একটি ট্রাক্টর।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রায় নয় মাস অতিবাহিত হতে চলছে।
রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করছে। বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের সীমন্তবর্তী এলাকাগুলোতে মিসাইল হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো এসব হামলা বাধা দেওয়ার জন্য সক্রিয় করা হচ্ছে।
পোল্যান্ডের সীমান্তে মিসাইল অবতরণের বিষয়টি নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই উদ্বেগ শুধু পোল্যান্ডের জন্য নয়, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের পশ্চিম সীমান্তের সমস্ত দেশের জন্য। ইতোমধ্যে মলদোভা তার সীমান্তের কাছাকাছি রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রভাব সম্পর্কে অভিযোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ড। সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষার বিষয়ে ন্যাটো অঙ্গীকারবদ্ধ। ইচ্ছাকৃত কিংবা দুর্ঘটনাবশত হোক, রাশিয়ার হামলার কারণে সৃষ্ট এই বিস্ফোরণ শঙ্কা বাড়িয়েছে।
এ দিকে বিস্ফোরণের জেরে আর্টিকেল-৪ এর আওতায় ন্যাটোর জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন পলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা। তিনি বলেন, ‘কে এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে মিসাইলটি রাশিয়ার তৈরি। ’
পলিশ সরকার বলছে, এ ঘটনার জন্য তারা মস্কোর দূতকে তলব করেছে ও এর ব্যাখ্যা চেয়েছে।
এ ঘটনার জন্য এখনও দায় স্বীকার করেনি রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘সীমান্তবর্তী প্রজেওডো গ্রামে কোনো হামলা চালানো হয়নি। পলিশ মিডিয়া দ্বারা প্রকাশিত ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে রাশিয়ান অস্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। ’ এমনকি এটিকে ইচ্ছাকৃত উসকানি বলে আখ্যা দিয়েছে তারা।
বিস্ফোরণের পর হোয়াইট হাউস বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিস্ফোরণের তদন্তের জন্য পোল্যান্ড সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
রাশিয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড আক্রমণ করেছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি সামষ্টিক নিরাপত্তার ওপর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এটি খুবই বড় ধরনের উসকানি। আমাদের অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। ’
news24bd.tv/মামুন