বেড়েছে চাল-আটার দাম, সংকট চিনির
বেড়েছে চাল-আটার দাম, সংকট চিনির

সংগৃহীত ছবি

বেড়েছে চাল-আটার দাম, সংকট চিনির

মোট চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২-৩ টাকা। বেড়েছে আটার দামও। এ দিকে বাড়তি দামে বোতলজাত সোয়াবিন তেল ও চিনি বিক্রি শুরু হলেও সংকট কাটেনি চিনির। দাম বেড়েছে ইলিশের।

তবে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম।  

দেশে ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে আমদানি পণ্যের দাম বাড়তি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।  

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা।

প্রতি কেজি পাইজাম বা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২ থেকে ৫৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চাল কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার ওপরে।

এদিকে প্যাকেট আটায় ৪ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ময়দায় দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৮০ টাকা হয়েছে। খোলা আটা ৬৫ ও ময়দা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ থেকে দেড়শো টাকা। ১ কেজি ওজনের ইলিশ এখন ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে।  

বাজারে শীতকালীন সবজি পর্যাপ্ত এসেছে। দামও গত দুই সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম। তবে কেজিপ্রতি ৫০ টাকার কমে মিলছে না কোনো সবজি। যা আগে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ছিল।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, সপ্তাহ খানেক আগে এর দাম ছিল ৬০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজের কেজি মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। ১২০ টাকার সিম কমে এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। গাজর ও পাকা টমেটোর কেজি ১০০ টাকা, পটল, করলা, বেগুন, লতির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিপিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ১৯০ বা তারও বেশি দামে। সেই হিসাবে এই মাংসের দাম কমেছে ১০ টাকা। অন্যদিকে, বাজারে কমতে শুরু করেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা।

এছাড়া ১৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দামে। কোথাও কোথাও কিছুটা কম দামে ১১৫ টাকায় চিনি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

নতুন করে বাড়ছে ছোলার দামও। খোলা বাজারে মসুর ডালের কেজি মানভেদে ১১০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলার প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম নির্ধারিত না থাকায় দফায় দফায় বাড়ছে। আর মৌসুম শেষে সরবরাহ কমতে থাকায় বাড়ছে চালের দাম।

news24bd.tv/হারুন