শতাধিক সাপের কামড়েও বেঁচে আছেন তিনি!

বিষধর সাপ হাতে ‘ভেনম ম্যান’ কুইলিলান

শতাধিক সাপের কামড়েও বেঁচে আছেন তিনি!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

একশ একটি সাপের বিষ শরীরে নিলেই মিলবে ‘অমরত্ব’। তার নেশায় সাপের দংশনে শরীর নীল করছেন এক সাপুড়ে। রূপালি পর্দায় এ ধরনের অভিনয়ের দৃশ্য হয়তো অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু বাস্তবে কি এরকম ঘটনা কখনো শুনেছেন?

নর্দান ফিলিপাইন কোবরা।

‘ভয়ঙ্কর বিষাক্ত’ এই সাপ কাউকে কামড়ালে কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু অনিবার্য। অথচ জো কুইলিলান প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার এই সাপের কামড় খেয়েও সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মতো বেঁচে আছেন! এ জন্য তাকে বলা হচ্ছে ‘ভেনম ম্যান’।

নিজের জীবন নিয়ে তার এই ভয়ঙ্কর খেলার শুরু মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকে। একদিন জঙ্গলের পথে হাঁটার সময় একটি গোখরা সাপ তাকে কামড় দেয়।

কামড়ানোর পর কুইলিলান হাসপাতলে যাননি। বরং এমন ভাব করেন, যেন তার কিছুই হয়নি। স্বাভাবিক কাজকর্মও চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি।  

সাপে কামড়ানোর ঘটনা পরিবার ও তার প্রতিবেশীরা জানার পর ভেবেছিলেন, তাকে হয়তো আর বাঁচানো যাবে না। কিন্তু সকলের ধারণা ভুল প্রমাণিত করে সে যাত্রায় বেঁচে যান ‘কিশোর কুইলিলান’।

সেই থেকে শুরু। এভাবে নিজের জীবন বিপন্ন হবে জেনেও গেল ১৭ বছর ধরে কুইলিলান মেতে আছেন এই ভয়ঙ্কর খেলায়। শত শত বার নানা রকম বিষাক্ত সাপের কামড় খেয়েছেন তিনি। কয়েক বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। নিজের একটি আঙুল হারিয়েছেন। তবুও তিনি প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে সাপের কামড় খাওয়া থেকে সরে আসেন নি।  

news24bd.tv
কুইলিলানের হাতে কামড় বসাচ্ছে বিষধর নর্দান ফিলিপাইন কোবরা

কিন্তু কেন তিনি বছরের পর বছর এটা করছেন?এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৩১ বছর বয়সি ফিলিপাইনের এই নাগরিক পেশায় সাপুড়ে। সাপ নিয়েই তার কারবার। তিনি এভাবে সাপের কামড় খাচ্ছেন যেন তার শরীর প্রাকৃতিকভাবেই সাপের বিষ প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। পৃথিবীর কোনো বিষধর সাপের কামড়েও যেন তার মৃত্যু না ঘটে।

গেল মে মাসে একটি টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোতে হাজির হয়ে কুইলিলান তার এই ক্ষমতা দেখান। শো চলাকালীন তিনি দু’টি নর্দান ফিলিপাইন কোবরার  কামড় খান। এরপর তাকে চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।  

হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার রক্ত পরীক্ষা করে জানান, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তবে প্রাকৃতিকভাবে কোন উপায়ে তার শরীর সাপের বিষ প্রতিরোধী হয়েছে, এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ডাক্তাররা।



সূত্র: এমএসএন, মেট্রো


অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর