আফসোসে পুড়তে পারেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। আবার থাকতে পারেন প্রফুল্লও। রোববার কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতাই হয়েছে ইকুয়েডর অধিনায়কের। তার দল স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে।
ভ্যালেন্সিয়া আক্ষেপে পুড়তে পারেন হ্যাটট্রিক করতে না পারার আক্ষেপে। কাতারের বিপক্ষে ঠিকই তিনটি গোল করেছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। তবে তার হেডে করা প্রথম গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেওয়া হয়।
হ্যাটট্রিক না হওয়ায় মন খারাপ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। তবে ভ্যালেন্সিয়া একাই যেভাবে ইকুয়েডরকে টানছে, তাতে নিজেকে গর্বিত দাবি করতে পারেন তিনি। কাতারে পা রাখার আগে ইকুয়েডর সবশেষ বিশ্বকাপ খেলেছে ব্রাজিলে, ২০১৪ সালে। সেই বিশ্বকাপে দলের হয়ে শেষ তিনটি গোলই আসে ভ্যালেন্সিয়ার পা থেকে। গ্রুপ পর্বে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এক গোলের পর, হন্ডুরাসের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই আবার করলেন জোড়া গোল। অর্থাৎ, বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের সবশেষ পাঁচ গোলের সবকটিই করেছেন ভ্যালেন্সিয়া। যে রেকর্ড আছে আর মাত্র তিন ফুটবলারের। বিশ্বকাপে দলের পক্ষে টানা পাঁচ গোলের রেকর্ডটি প্রথম গড়েন পর্তুগিজ কিংবদন্তি ইউসেবিও। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে এই ইতিহাস গড়েন তিনি। ১৯৮২ সালে ইতালির পাওলো রসি নাম লেখান ইউসেবিওর পাশে। এরপর ১৯৯৪ সালে রাশিয়ার ওলেগ সালেঙ্কো যোগ দেন তাদের সঙ্গে।
চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে দলের পক্ষে টানা পাঁচ গোলের কীর্তি দেখালেন ভ্যালেন্সিয়া। কাতারের বিপক্ষে বিরল এই রেকর্ড গড়ার দিন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
news24bd.tv/সাব্বির