পশ্চিমবঙ্গের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা মারা গেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে ১২টা ৫৯ মিনিটে হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নিজের প্রিয় মানুষকে হারালেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। কাছের মানুষকে হারিয়ে বিহ্বল তিনি।
অভিনেত্রীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই যেন কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন অভিনেতা। জীবনের কাছের মানুষকে সদ্য হারানোর পর নিজেকে সব জায়গা থেকেই গুটিয়ে নিলেন। আর ফেসবুকে তাঁকে খুঁজলেও পাবে না কেউ।২০১৭ সালে ঐন্দ্রিলা শর্মার 'ঝুমুর' ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয় শুরু।
এরপর ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা শুরু হয়। বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। এভাবেই তাঁদের প্রেমের শুরু। ভালোবেসে একে অপরের হাত ধরে ছিলেন। ২০২১–এ যখন আবারও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা, তখনো হাতটি ছাড়েননি সব্যসাচী। কেমোথেরাপির জন্য ঐন্দ্রিলার চুল কেটে ফেলতে হয়। তাঁকে খুশি রাখতে নিজের চুলও কেটে ফেলেছিলেন সব্যসাচী। এতটাই ভালোবেসে ছিলেন তিনি।
দুইবার ক্যানসারকে হার মানিয়ে ফেরেন কাজে। সুখ-দুঃখে সবসময়ই পাশে ছিলেন বন্ধু, প্রেমিক সব্যসাচী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁরা দুজনেই ছিলেন সক্রিয়। একসঙ্গে বিভিন্ন ছবি পোস্ট করতেন। তাঁদের এই ভালোবাসা টিকল মাত্র ৫ বছর। জীবন যুদ্ধে হেরে অবশেষে সব্যসাচীর হাতটা ছেড়ে দিলেন ঐন্দ্রিলা। তাঁকে একা রেখে পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে।
ঐন্দ্রিলা ব্রেন স্ট্রোক করার পর থেকে সব কাজ ছেড়ে হাসপাতালে তাঁর কাছাকাছি ছিলেন। দিয়েছিলেন সাহস। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছ’দিন কাটানোর পর ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে সব্যসাচী লিখেছিলেন, 'নিজের হাতে নিয়ে এসেছিলাম। নিজের হাতে করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না। '
আরও পড়ুন: দীর্ঘ লড়াই শেষে না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা
ঐন্দ্রিলার অবস্থা আগের চেয়েও সংকটাপন্ন
সব্যসাচী করছিলেন অলৌকিক কিছু হওয়ার প্রার্থনা। কিন্তু হলো না। শনিবার রাতে সব পোস্ট ডিলিট করে দেন সব্যসাচী। তিনি হয়তো বুঝে গিয়েছেন সময় শেষ। আর তাঁকে ধরে রাখা যাবে না। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই থেমে যান ঐন্দ্রিলা শর্মা
news24bd.tv/রিমু