দেড় দশক আগের জৌলুস নেই দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদকের। চলতি বছরে ১০ মাসে হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করলেও প্রভাবশালীদের মামলা হিমাগারে। টিআইবি বলছে, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে দুদক।
বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে তুমুল আলোচনা থাকলেও এক্ষেত্রে সাফল্যের কোন গল্প নেই দুদকের ঝুলিতে।
ওইসময় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে কখনও নন্দিত আবার কখনও নিন্দিত হন। তবে যাত্রাপথে সেই উত্তাপে কিছুটা ভাঁটা পড়ে।
দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, চলতি বছরে ৫৯৫টি অনুসন্ধান, ৩৫৫টি মামলা, ১৮৪টি চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য খাতসহ বড় বড় মামলার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকলেও কমিশন বলছে- জনগণে আস্থা অর্জনে কাজ করছে দুদক।
অন্যদিকে ২০২২ সালে দুর্নীতিবাজদের ৫ কোটি ৬৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদ এবং ২৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ১৫ হাজার নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুদকের মামলায়। স্থাবর- অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয় প্রায় ৮শ' কোটি টাকা। তবে, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে সফলতা নেই দুদকের।
তবে টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের মতে, কাগজে কলমে সংস্থাটির কাজের পরিধি বাড়লেও বাস্তবে দুদক দুর্নীতি বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রভাব রাখতে পারছে না। তিনি বলেন, দুর্নীতির ভয়াবহতা এতটাই বেশি যে দুদকের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
উল্লেখ্য, আজ ১৮তম বছরে পা রাখল রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি। দিনটি উপলক্ষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।
news24bd.tv/FA