ইরানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু ইংল্যান্ডের

ইরানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু ইংল্যান্ডের

অনলাইন ডেস্ক

বড় জয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করলো ইংল্যান্ড। আজ সোমবার দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইরানকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। দলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন বুকায়ো সাকা। ইংলিশদের পক্ষে অপর চার গোল করেছেন জুড বেলিংহাম, রাহিম স্টার্লিং, মার্কাস র‍্যাশফোর্ড এবং জ্যাক গ্রিলিশ।

কোনো গোল না পেলেও দারুণ খেলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। দুটি গোলে সহায়তা করেন তিনি।

দোহায় আজ ইংল্যান্ড-ইরানের শুরুটা হয়েছিল ম্যাড়ম্যাড়েই। তবে সুযোগ পেলে ইংল্যান্ড উঠছিল আক্রমণে।

তাদের এক আক্রমণ ঠেকাতে গিয়েই ইরানি গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্দ সতীর্থের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান। সে কারণে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় ১০ মিনিট। আঘাতের পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উঠে দাঁড়ালেও, আবার পরে যান আলিরেজা। শেষে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

আলিরেজা মাঠ ছাড়তেই যেন কপাল পোড়ে ইরানের। ৩১ মিনিটেই এগিয়ে যেত পারতো ইংল্যান্ড, যদি হ্যারি ম্যাগুয়ারের দারুণ হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে না আসতো। সেই আক্ষেপ অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি ইংলিশ সমর্থকদের। ৩৫ মিনিটে গোলখাতা খোলেন জুড বেলিংহাম। বাঁ প্রান্ত থেকে লুক শর দারুণ এক ক্রস থেকে হেডে গোল করেন তিনি।  ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে এটাই বেলিংহামের প্রথম গোল।

ডেডলক ভাঙতেই মুহূর্তের মধ্যে আরও দুটি গোল পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৪৩ মিনিটে ম্যাগুয়ারের হেড থেকে পাওয়া বল দারুণ শটে ইরানের জালে পাঠান বুকায়ো সাকা। বিশ্বকাপে সাকার এটি প্রথম গোল। মিনিটখানেক পর গোল উৎসবে নাম লেখান রাহিম স্টার্লিং। এবার ডান প্রান্ত থেকে হ্যারি কেইনের ক্রস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান ৩-০ করেন স্টার্লিং। আলিরেজা চোটে পড়ে সময় নষ্ট হওয়ায় রেফারি প্রথমার্ধে অতিরিক্ত ১৪ মিনিট দেন। সে সময় আর কোনো দল গোল করতে পারেনি।

প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল হয়েছে আরও পাঁচটি। এই অর্ধে ইরান খোলে গোলের গেরো। ৬৫ মিনিটে নিখুঁত শটে গোল করেন ইরানি স্ট্রাইকার মেহদি তারেমি। বলের যোগানদাতা ছিলেন আলী গোলিজাদেহ। তার কাছে বল আসার আগে সাদেঘ মোহারামি এবং আহমাদ নুরুলাহি নিজেদের মধ্যে বল দারুণভাবে দেওয়া-নেওয়া করে ইংল্যান্ড রক্ষণকে ব্যস্ত রাখেন। ফলশ্রুতিতে গোলটি পেয়ে যায় ইরান।

এই গোলের আগে ও পরে ইংল্যান্ড গোল পায় তিনটি। ৬২ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ে আটকাতে পারলে, তার বাড়ানো বল থেকেই সাকা দ্বিতীয়বারের মতো স্কোরশিটে তোলেন নাম। এরপর সাকার বদলি নেমে মিনিটখানেক না যেতেই গোল পেয়ে মার্কাস র‍্যাশফোর্ড। ৭১ মিনিটে তার গোলের কারিগর ছিলেন কেইন।

কেইনের বদলি নেমে আবার শেষ গোলের কারিগর বনে যান ক্যালাম উইলসন। ৮৯ মিনিটে চাইলে গোলটা তিনিই করতে পারতেন। তবে দ্রুতগতিতে ইরানের অর্ধে উঠে তিনি বল বাড়ান ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা জ্যাক গ্রিলিশকে। স্রেফ টোকায় বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল পেয়ে যান গ্রিলিশ। শেষদিকে ইরান ব্যবধান কমায় পেনাল্টি থেকে। নির্ধারিত সময়ের পর ইনজুরি সময়ও যখন শেষের পথে, তখনই পেনাল্টি উপহার পায় ইরান। স্পটকিক থেকে গোল করে হারের ব্যবধান কমান তারেমি।

ব্যবধান কমালেও তারেমির জোড়া গোল ইরানকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি। কেননা বিশ্বকাপে এর আগে কখনো এতো বড় ব্যবধানে হারেনি দলটি। এই প্রথম বিশ্বকাপে ৪ গোলের বেশি হজম করলো এশিয়ার দেশটি।

news24bd.tv/সাব্বির