ধর্ষণের মামলাকারী কলেজছাত্রীকে ফের ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিম। এরপর সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি। এবার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।
বিভাগীয় মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি হারালেন তিনি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২১ নভেম্বর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রেজাউল করিম জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক (উপসচিব) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তার বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর ৯(১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি ফৌজদারি মামলা হয়।
এতে আরও বলা হয়, উপসচিবের দেওয়া জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিযোগ তদন্তে করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল হয়। তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা করে শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী রেজাউল করিমকে গুরুদণ্ড দেওয়ার প্রাথমিক ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।
উপসচিব রেজাউল করিমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর শাস্তির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হলে কমিশন এতে একমত পোষণ করে। পরে রাষ্ট্রপতিও এ বিষয়ে সম্মতি দেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা রেজাউল করিম রতন ২০১৭ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে ওই কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ‘প্রতারণার’ ফাঁদে ফেলে রতন তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ঘটনার ভিডিও রয়েছে বলে হুমকি দিয়ে এক বছর তাকে ধর্ষণ করে চলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
এ অভিযোগ করে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে রতনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন ওই কলেজছাত্রী। এ মামলা করার আগের মাসে রতনের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেছিলেন ওই ছাত্রী। দুই মামলাতেই ধানমন্ডি থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর রতনকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
news24bd.tv/আলী