আর্জেন্টিনার হার নয়, সমর্থক কাকনের মৃত্যু পুরনো অসুস্থতায়

সংগৃহীত ছবি

আর্জেন্টিনার হার নয়, সমর্থক কাকনের মৃত্যু পুরনো অসুস্থতায়

অনলাইন ডেস্ক

সৌদি আরবের বিপক্ষে দুইবারের বিশ্বকাপজয়ীদের হারে কুমিল্লায় কাউসার জাবেদ কাকন নামে এক আর্জেন্টাইন সমর্থকের মৃত্যুর হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত এই খবরটি সঠিক নয় বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। আর্জেন্টিনার সমর্থক হলেও তার মৃত্যু হয়েছে পুরনো অসুস্থতাজনিত কারণে, দেশের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে এমনটাই নিশ্চিত করেছে ওই এলাকার ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন।  

বিশ্বকাপ জয়ের যেই স্বপ্ন নিয়ে কাতারে পা রেখেছিল আর্জেন্টিনা।

সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে সেই স্বপ্নে বড় ধাক্কা খেয়েছে দুইবারের বিশ্বকাপজয়ীরা। আর্জেন্টিনা ম্যাচ হারের সেই ধাক্কা সামলাতে পারেনি অনেকেই। এমন দিনে অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু হয় আর্জেন্টাইন সমর্থক কাকনের। ফলে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়, আর্জেন্টিনা হারায় মৃত্যু হয়েছে কাকনের।
তবে এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের কোনো সদস্যদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত না হয়েেই প্রচার করা হয় খবরটি। যা যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

তবে পরবর্তীতে জানা গেছে, আর্জেন্টিনা হারায় মৃত্যু হয়নি ৫০ বছর বয়সী কাকনের। দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমা ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তার মৃত্যু হয়েছে পুরনো অসুস্থতাজনিত কারণেই।

নিহত কাকনের বাড়ি কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামে। তার দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। কুমিল্লা শহরের রেসকোর্সেও কাউসার জাবেদ কাকনের বাড়ি রয়েছে।

সম্প্রতি সপরিবারে গ্রামের বাড়ি শিকারপুরে বেড়াতে যান তারা। সেখানে মঙ্গলবার বিকেলে অসুস্থ বোধ করলে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে যান, তবে কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই এলাকার ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও সাবেক ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন।

সাবেক ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কাকন দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমা ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে তিনি নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার করতেন। ’

বর্তমান ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, ‘খেলার সঙ্গে কাকনের মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একেবারেই মিথ্যা কথা। খেলা নিয়ে উনার তেমন আবেগ কখনও চোখে পড়েনি। ’

কাকনের ভাই শাহিদ হাসান সোহেল বলেন, ‘আমার ভাই বিকেলে খেলা দেখছিলো। তখনও সৌদি আরব আর আর্জেন্টিনার জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়নি। হঠাৎ আমার ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ’

পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য ছাড়াই কাকনের মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ‘মনগড়া’ তথ্য প্রচার করেছে অভিযোগ করে তিনি আরো বলেন, ‘গণমাধ্যমে কারা এমন সংবাদ প্রচার করলো জানি না। এ বিষয়ে আমাদের কারও বক্তব্য নেয়ার প্রয়োজনীয়তা তারা অনুভব করেনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন বিব্রত। ’

 news24bd.tv/আমিরুল