একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় ব্যানারে ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম জনসভা ছিলো আজ বৃহস্পতিবার যশোরে শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভা। তার আগমনকে ঘিরে গোটা যশোরকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছিলো।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে শুধু স্টেডিয়ামের সভাস্থলই না; যশোর শহরও জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিলো। শেখ হাসিনার ভাষণ শুনতে যশোরের স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছিলো।
সকাল ৮টার পর থেকে মানুষ জনসভামুখী হতে শুরু করে। তাদের স্বাগত জানাতে রঙিন হয়ে উঠে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোর।
সভামঞ্চের সামনে জায়গা পেতে সকাল ৯টা থেকেই যশোর জেলার আট উপজেলাসহ আশপাশে পাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন। অনেকে ব্যাগে করে দুপুরের খাবারও নিয়ে এসেছেন। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবি সম্বলিত গেঞ্জি পরে কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভায় হাজির হন। নেতাকর্মীরা হাতে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও বহন করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। যশোরের উন্নয়নে একগুচ্ছ দাবি দাওয়া রয়েছে এখানকার বাসিন্দাদের।
যশোরের নাগরিক সমাজ এরইমধ্যে যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে সাগরদাঁড়িতে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান, যশোর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণ ও সিটি করপোরেশনের দাবি নিয়ে মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভা এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ প্রমুখ।
news24bd.tv/desk