ব্রেল এমবোলোর জন্মস্থান ক্যামেরুন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলে তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন সুইজারল্যান্ডকে। ভাগ্যের ফেরে জন্মভূমির বিপক্ষে আজ বৃহস্পতিবার খেলতে নামলেন তিনি। জন্মভূমির বিপক্ষে পেলেন গোলও।
প্রথমার্ধে ক্যামেরুন দাপট দেখালেও, বিরতিতে থেকে ফিরতেই সুইজারল্যান্ড গোল করে বসে। সাজানো গোছানো এক আক্রমণ থেকে ১৩ পাসের ফল হয়ে আসে ব্রেল এমবোলোর গোলটি। ডান প্রান্ত থেকে গ্রানিত ঝাকার পাস খুঁজে নেয় জেরদান শাকিরিকে।
এর আগে, শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকলেও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমার্ধে নিজেদের উজাড় করে দিয়ে খেলেন ক্যামেরুন ফুটবলাররা। ম্যাচের শুরুতে বল দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। তবে ক্যামেরুনের হাই প্রেসের সামনে পায়ে বেশি বল রাখতে পারেননি ঝাকা-শাকিরিরা। উল্টো পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল ক্যামেরুন। ১০ মিনিটে দলটি ম্যাচে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে। দুরূহ কোণ থেকে শট নেন ব্রায়ান এমবুমো। তবে তার শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন ইয়ান সোমার।
কিন্তু তখনও বিপদ কাটেনি সুইজারল্যান্ডের। ক্লিয়ার না হওয়ায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কার্ল তোকো একামবি সেই বল পেয়ে যান। তবে রিবাউন্ডে তার নেওয়া শট চলে যায় গোলবারের অনেক ওপর দিয়ে। ৪ মিনিট পর সুইস শিবিরে আবার ভীতি ধরায় ক্যামেরুন। এক সুইস ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে একাই গোলের জন্য ছোটেন চুপো মোটিং। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সোমারকে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি। ২৯ মিনিটে মার্টিন হোংলাকেও গোলবঞ্চিত রাখে সোমার। চুপো মোটিংয়ের বাড়ানো বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে হোংলা গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন। তবে সোমার বিশ্বস্ত হাতে তা রুখে দেন।
এরপর দুই দলের রক্ষণ বেশ দক্ষতার পরিচয় দেয়। যে কারণে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি হলেও, স্কোরলাইন ছিল ০-০। প্রথমার্ধে সুইজারল্যান্ড গোলমুখে কোনো শট রাখতে পারেনি। তবে যোগ করা সময়ে কর্নার থেকে আসা বলে ঠিকঠাক হেড করতে পারলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেত সুইসরা।
বিরতি থেকে ফিরেই এমবোলো গোল করলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সুইসরা। তবে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে সেই গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ এসেছিল ক্যামেরুনের সামনে। এমবুমোর ফ্রি কিক থেকে আনগিসার হেডটি অবশ্য জমা পড়ে সোমারের গ্লাভসে। এরপরই প্রতি আক্রমণে উঠে আরও দুইবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় সুইসরা। প্রথমে ভারগাসের গতিময় শট ঠেকিয়ে দেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক। এরপর কর্নার কিক থেকে আসা বল উইডমারের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
সুইজারল্যান্ড চাইলে জয়ের ব্যবধান বাড়াতে পারতো। তবে ৮৮ মিনিটে ঝাকার দূরপাল্লার শট সহজেই রুখে দেন ওনানা। ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে ক্যামেরুন রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে বল নিয়ে হারিস সেফেরোভিচ ডি বক্সে ঢুকে যান। দারুণ দক্ষতায় বল পায়ে রাখলেও তার শট ব্লক হয় ক্যামেরুন ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে। ফলে ব্যবধান আরও বাড়ানো হয়নি দলটির।
news24bd.tv/সাব্বির