দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন

দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক

গভর্নিং ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির (ডিপিপি) প্রধান থেকে পদত্যাগ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। শনিবারের নির্বাচনে হারের পরই দলীয় প্রধানের পদ ছাড়লেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

প্রতি চার বছর পর পর তাইওয়ানে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার  মেয়র, কাউন্টি প্রধান এবং স্থানীয় কাউন্সিলরদের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ভোটে বিজয়ীরা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলতে পারলে চীন নীতি নিয়ে কিছুই করতে পারবেন না।

শনিবারের এই নির্বাচনকে স্থানীয় ভোট বলতে নারাজ সাই ইং-ওয়েন। তিনি এটিকে স্থানীয় নির্বাচনের চেয়ে বেশি কিছু বলে পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।

তিনি বলেছেন, ‘তাইওয়ান নির্বাচনে চোখ রয়েছে গোটা বিশ্বের। চীনের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনার মধ্যে কীভাবে তাইওয়ান তার গণতন্ত্র রক্ষা করে ও দ্বীপটিকে তার এলাকা বলে দাবি করে তার জন্যই সবার নজর তাইওয়ানের দিকে। ’

এ দিকে তাইওয়ানের স্থানীয় এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে জয়ের সুবাতাস পাচ্ছে চীনপন্থী কুওমিনতাং (কেএমটি) পার্টি। ২১টি মেয়র পদের নির্বাচনে রাজধানী তাইপেসহ দলটি জিতেছে ১৩টি আসন। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত ডিপিপি পেয়েছে মাত্র পাঁচটি আসন।

দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করার সময় সাই ইং-ওয়েন বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। আমরা তাইওয়ানের জনগণের সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছি। এই ব্যর্থতার দায় আমি আমার কাঁধে নিচ্ছি ও ডিপিপির দলীয় প্রধান থেকে পদত্যাগ করছি। ’

‘এটা এমন নয় যে ডিপিপি আগে কখনো ব্যর্থ হয় নি। আমাদের দুঃখ করার সময় নেই। আমরা পড়ে গিয়েছি কিন্তু আমরা আবার উঠে দাঁড়াবো,’ যোগ করেন তিনি।

দলীয় প্রধানের পদ ছাড়লেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন সাই ইং-ওয়েন।

এ দিকে সাই ইং-ওয়েনের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তাইওয়ান প্রসিডেন্টের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী ও ডিপিপির সিনিয়র নেতা সু সেং-চ্যাং সাই ইং-ওয়েনের পদত্যাগ পত্র প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাকে দলীয় প্রধানের দায়িত্বে থেকে নিজেদের নীতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য বলেছেন সু সেং-চ্যাং।

নির্বাচনের এই ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়। তারা বলছে, তাইওয়ানের জনগণ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও একটি ভালো জীবনের পক্ষে রায় দিয়েছে। বেইজিং তাইওয়ানের জনগণের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক উন্নীত করতে এবং তাদের স্বাধীনতা ও বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করতে কাজ চালিয়ে যাবে।

news24bd.tv/মামুন