বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। শুধু ব্যক্তিগত চ্যাট নয়, ব্যবসায়িক এবং অফিসের কাজের জন্যও ব্যবহার হয় প্ল্যাটফর্মটি। বিশ্বব্যাপী প্রায় ২.৪৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ নিয়মিত এ মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করেন। মেটার মালিকানাধীন এই অ্যাপ ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাইবারনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর হ্যাকিং কমিউনিটি ফোরামে একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করা হয়। বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়, তাদের কাছে ৪৮৭ মিলিয়ন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বরের ডেটাবেজ রয়েছে। তাতে বিশ্বের ৮৪টি দেশের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
![](https://cdn.news24bd.tv/public/news_images/photo/shares/2022 All/November 2022/20-30/2.jpg)
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.৪৪ বিলিয়নেরও বেশি। এর মধ্যে এক চতুর্থাংশ ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সাইবার অপরাধীরা চুরি করেছেন বলে জানিয়েছে সাইবার নিউজ। ৮৪টি দেশের যেসব হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর তাদের ডেটাবেজে রয়েছে, তারা তথ্য ফাঁসের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্যের ১১ মিলিয়ন, রাশিয়ার ১০ মিলিয়ন, ইতালির ৩৫ মিলিয়ন, সৌদি আরবের ২৯ মিলিয়ন, মিশরের ৪৫ মিলিয়ন, ফ্রান্স ও তুরস্কের ২০ মিলিয়ন করে, মালয়েশিয়ার ১১ মিলিয়ন, ভারতের ৬ মিলিয়ন এবং বাংলাদেশের ৩.৮ বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছেন।
বিশ্বের এই বিপুল সংখ্যক সক্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর কীভাবে ফাঁস হয়েছে, তা সাইবার নিউজের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। তবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাইবার অপরাধীরা স্ক্র্যাপিং নামক একটি প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়ে পুরো ডেটাবেজ প্রকাশ্যে এনেছেন। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হয়।
![](https://cdn.news24bd.tv/public/news_images/photo/shares/2022 All/November 2022/20-30/1.jpg)
ফাঁস হওয়া ফোন নম্বর কাজে লাগিয়ে স্প্যাম মেইল পাঠানোর পাশাপাশি ফিশিং আক্রমণ চালাতে পারে হ্যাকাররা। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণও নিতে পারে। এর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
news24bd.tv/আলী