জার্মানদের মাঠেই লজ্জা দিলো কাতারিরা

জার্মানদের মাঠেই লজ্জা দিলো কাতারিরা

অনলাইন ডেস্ক

কাতারে সমকামিতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এটা জেনেও সমকামীদের সমর্থন জানাতে মাঠে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরার ঘোষণা দেয় জার্মানিসহ ইউরোপের আরও সাত দেশ। বিশ্বকাপ শুরুর দুইদিন আগে ফিফা আয়োজকদের চাপে কড়াকড়ি নিয়ম আরোপ করতে বাধ্য হয়। জানিয়ে দেয়, বিশেষ এই আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামলেই দেখতে হবে হলুদ কার্ড।

যারপরনাই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় দেশগুলো।

আর্মব্যান্ড পড়তে বাধা দেওয়ায় বাকিরা তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও, জার্মানি যেন এক কাঠি সরেশ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে তারা ফিফা এবং আয়োজকদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় হাত দিয়ে মুখ চেপে। দলটি বোঝাতে চেয়েছিল, তাদের কথা বলার অধিকার হনন করা হয়েছে।

ফিফা এবং আয়োজকদের বিরুদ্ধে গিয়ে জার্মানির এই প্রতিক্রিয়া ভালোভাবে নেয়নি অনেকেই। কাতারিরা তো এই ঘটনার জন্য পাল্টা লজ্জা দিলো জার্মান দলকে। গতকাল স্পেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ডাই মনশাফটরা। পুরো ম্যাচেই গ্যালারিতে থাকা কিছু দর্শক মেসুত ওজিলের ছবি ধরে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এ সময় তারাও নিজেদের হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেসুত ওজিলের প্রতি জার্মানির বর্ণবাদী আচরণের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই তাদের এমন কাজ করেছে কাতারের কিছু ফুটবল সমর্থক।  

ওজিল রাশিয়া বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল থেকে অবসর নেন। টুর্নামেন্টের আগে তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ছবি তুলে প্রথমে সমালোচিত হয়েছিলেন ওজিল। এরপর বিশ্বকাপে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। জার্মানরা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় হওয়ার পর তাকেই বানানো হয় বলির পাঠা। করা হয় বর্ণবাদী আচরণ। যে কারণেই জার্মান ফুটবলকে বিদায় বলে দেন তিনি।

২০১৪ বিশ্বকাপ জেতা ওজিলের জন্ম জার্মানিতে হলেও, তার বাবা-মা তুর্কি অভিবাসী। সেই সময় তিনি তুরস্ক থেকে আসা পরিবারদের প্রতি জার্মান ফুটবল, ভক্ত ও গণমাধ্যমের বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি জয় পেলে সমর্থকদের চোখে তখন জার্মান, কিন্তু যখন হেরে যাই তখন আমি একজন বহিরাগত। ’

news24bd.tv/সাব্বির