‘যৌন রোগ নিয়ে কবিরাজ-ফকির ও হারবাল ওষুধের অপব্যবহার হচ্ছে’

‘যৌন রোগ নিয়ে কবিরাজ-ফকির ও হারবাল ওষুধের অপব্যবহার হচ্ছে’

অনলাইন ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে সেক্সচুয়াল ডিস অর্ডারের চিকিৎসা চলছে। কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে এ চিকিৎসা বিচ্ছিন্নভাবে নয় বরং সমন্বিতভাবে প্রয়োজন। এ কারণে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে সেক্সচুয়াল মেডিসিনের ওপর ফেলোশিপ চালুর প্রস্তাব পাঠাব। তারা অনুমোদন দিলে বিএসএমএমইউতে যৌন রোগ নিয়ে সমন্বিত ফেলোশিপ চালু করা হবে।

আজ সোমবার বিএসএমএমইউতে যৌন সমস্যা ও রোগের চিকিৎসা নিয়ে ‘সাউথ এশিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সচুয়াল মেডিসিন স্কুল বাংলাদেশ-২০২২’ বিষয়ক তিন দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাউথ এশিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সচুয়াল মেডিসিনের নির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল আহসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. একেএম আনোয়ারুল ইসলাম, ভারতের অধ্যাপক ভেনকাটারামানা গোধা, ডা. ভাসান এসএস, ডা. টিএসএস রাও, ইতালির ডা. গিউভাননী করোনা, ডেনমার্কের অধ্যাপক আন্নামারিয়া গিরালডি, তুরস্কের অধ্যাপক ইজি ক্যাস সিরিফোগলু, পোল্যান্ডের অধ্যাপক মিখাইল লিই স্টারোভিজ, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির মহাসচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিমসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বক্তব্য রাখেন।

বিএসএমএমইউর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সে সাউথ এশিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সচুয়াল মেডিসিন কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয়ের সারা দেশের ৫০ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় বলা হয়, সারা দেশে যৌন অক্ষমতায় ভুগছেন অসংখ্য মানুষ।

যৌন অক্ষমতার কারণে দাম্পত্য শান্তি দূর হয়ে যায়। সুস্থ জীবনযাপন ব্যাহত হয়। সামাজিক সৌহার্দ্য কমে আসে। একইসঙ্গে প্রজনন ক্ষমতা কমে আসায় জনসংখ্যার ভারসাম্যের পাশাপাশি বংশ রক্ষা ঝুঁকিতে পড়ে যায়। ডায়াবেটিসের আক্রান্ত পুরুষ রোগীদের মাঝে ৬৩ শতাংশ ইরেক্টাল ডিসফাংশন হয়ে যায়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত নারী রোগীদের মাঝে ২৮ শতাংশ রোগী অ্যাসেক্সচুয়ালিটিতে ভোগেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্ত ৫০ বছরের ঊর্ধ্বের পুরুষ রোগীদের ৫০ শতাংশ প্রি-ইজাকুলেশন হয়ে থাকে।

কর্মশালায় আরও বলা হয়, দেশে যৌন রোগ নিয়ে কবিরাজ, ফকির ও হারবাল ওষুধের অপব্যবহার হচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আসা রোগীরা বিচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। বিচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা নেওয়ার ফলে রোগীরা সব সময় সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। সময়ের প্রয়োজনে সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রয়োজন। বিএসএমএমইউ’র মতো বড় প্রতিষ্ঠানের এ বিষয়ে ফেলোশিপ কোর্স চালুর দাবি রাখে।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন রোগের কারণে মানুষ যৌনরোগে আক্রান্ত হলেও এর চিকিৎসা বিচ্ছিন্নভাবে নিজ নিজ ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে করা হয়। এর মধ্যে সাউথ এশিয়ান সোসাইটি ফর সেক্সচুয়াল মেডিসিনের ছাতার নিচে বসে বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সোসাইটি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোলজিক্যাল সার্জনস, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইক্রিয়াটিস্ট ও ওজিএসবি রোগীদের সেবা প্রদান করে আসছে।