রুদ্ধশ্বাস জয়ে নকআউটে সেনেগাল, বিদায় ইকুয়েডরের

রুদ্ধশ্বাস জয়ে নকআউটে সেনেগাল, বিদায় ইকুয়েডরের

অনলাইন ডেস্ক

কাতারকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ইকুয়েডর। পরের ম্যাচে শক্তিশালী নেদারল্যান্ডসকেও রুখে দেয় লাতিন আমেরিকার দেশটি। তবে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ হেরে যাওয়ায় কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ওঠা হলো না এনার ভ্যালেন্সিয়ার দলের। আজ মঙ্গলবার দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২০ বছর পর নকআউট পর্বের টিকিট কেটেছে সেনেগাল।

রাশিয়া বিশ্বকাপে অদ্ভুত এক নিয়মের কারণে নকআউট পর্বে ওঠা হয়নি সেনেগালের। জাপানের সমান পয়েন্ট, গোল ব্যবধান এবং হেড টু হেডে সমানে সমান থাকার পর হলুদ কার্ড বেশি পাওয়ায় দলটিকে বিদায় নিতে হয় গ্রুপ পর্ব থেকেই। আলিউ সিসের দল সেই আক্ষেপ ঘোচাল এবার। আজ শেষ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নদের সামনে।

কঠিন সে সমীকরণ মিলিয়েই শেষ ষোলতে পা রাখল সেনেগাল।

কঠিন সমীকরণ মেলানোর ম্যাচটা দ্বিতীয়ার্ধে ছড়িয়েছে বেশ রোমাঞ্চ। ইসমাইলা সারের গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া দলটি গোল হজম করে ৬৭ মিনিটে। ম্যাচের ফল তখন আর পরিবর্তন না হলে ইকুয়েডরই চলে যেত শেষ ষোলতে। কিন্তু তা হতে দিলেন না সেনেগালিজ অধিনায়ক কালিদু কুলিবালি। গোল হজমের মিনিট তিনেক পর তার দুর্দান্ত গোলে জয় নিশ্চিত হয় সেনেগালের।

প্রথমার্ধের একদম শেষদিকে পেনাল্টি থেকে সেনেগালকে এগিয়ে নিয়েছিলেন ইসমাইলা। ৪২তম মিনিটে ডি বক্সে বল নিয়ে ঢুকে যাওয়ার পর পিয়েরো হিনকাপির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ইসমাইলার। রেফারি সরাসরি সেনেগালকে পেনাল্টি উপহার দেন। ৪৪তম মিনিটে স্পটকিক থেকে ইকুয়েডর গোলরক্ষক হের্নান গালিন্দেজকে বোকাই বানান তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে ইকুয়েডরের হয়ে সেই গোল শোধ দেন মইসেস মইসেস কাইসেদো। গনজালো প্লাটার কর্নার কিক থেকে আসা বল ফেলিক্স তোরেসের সৌজন্য আসে দূরের পোস্টে একদম ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা কাইসেদোর কাছে। বেশ সহজেই লক্ষ্যভেদ করে ইকুয়েডরকে ম্যাচে ফেরার তিনি। পরের রাউন্ডে ওঠার জন্য কাজটি সেরে ফেলার পর ইকুয়েডরের উদযাপন ছিল দেখার মতো। কিন্তু উদযাপন শেষে খেলায় ফিরতে দলটি ফের হজম করে গোল।

ফাউলের সুবাদে গোলপোস্টের ৩০ গজ দূরে ফ্রি কিক পায় সেনেগাল। ইদ্রিসা গানা গুয়ের ফ্রি কিক ডি বক্সে দুই ইকুয়েডরিয়ান ফুটবলারের গায়ে লেগে এসে পড়ে কুলিবালির সামনে। দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে পাঠান কুলিবালি। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এটাই কুলিবালির প্রথম গোল। তার প্রথম গোলটি নিঃসন্দেহে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সেনেগালের ফুটবল ইতিহাসে। কেননা এই গোলটিই যে সেনেগালকে ২০ বছর পর তুলল বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে।

গ্রুপের অপর ম্যাচ নেদারল্যান্ডস জেতায় রানার্স-আপ হিসেবে রাউন্ড অব ১৬-তে পা রাখলো সেনেগাল।

news24bd.tv/সাব্বির