নিজেদের মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাল ৩ চীনা নভোচারী

সংগৃহীত ছবি

নিজেদের মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাল ৩ চীনা নভোচারী

অনলাইন ডেস্ক

চীনের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগংয়ে পৌঁছেছে তিন নভোচারী। শেনঝাউ–১৫ নভোযানে করে বুধবার (৩০ নভেম্বর) মহাকাশ স্টেশনটিতে পৌঁছায় তারা। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কক্ষপথে পৌঁছেছে চী্নো নভোচারীরা। খবর রয়টার্সের।

তিন যাত্রী নিয়ে গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চীনের উত্তর-পশ্চিমের গোব মরুভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করে শেনঝাউ-১৫ বা ডিভাইন ভেসেল নভোযানটি। যাত্রা শুরুর ছয় ঘণ্টা পর এটি গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়। মহাকাশ স্টেশনটিতে ছয় মাস থাকবেন এই তিন নভোচারী।

চীনের মহাকাশ স্টেশনটি তৈরিতে যে ১১টি আলাদা যন্ত্রাংশ প্রয়োজন ছিল এবারের যাত্রায় তার শেষ চালানটি গিয়েছে।

চীন এই মহাকাশ স্টেশনটিতে প্রায় এক দশক ধরে কাজ করবে এবং প্রায় শূন্য মাধ্যাকর্ষণে পরীক্ষা চালাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে কক্ষপথে থাকা দ্বিতীয় মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটি আগে থেকেই চালু রয়েছে। চীন নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কোনো অংশীদার নয়। ২০১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নাসাকে চীনের সঙ্গে কাজ করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপর থেকে চীন নিজস্ব উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে।

চীনের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান চায়না ম্যানড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘নতুন নভোচারীরা স্টেশনের চারপাশে সরঞ্জাম স্থাপনের কাজ করবেন। বছরের শেষ নাগাদ নির্মাণ কাজ শেষ হবে এটির। ’

চীনের মহাকাশ গবেষণা ও অভিযানে সাফল্য হিসেবে এর আগে মঙ্গল গ্রহ ও চাঁদে রোবোটিক রোভার অবতরণ করে এবং বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে কক্ষপথে নভোচারী পাঠালো তারা।

শেনঝাউ-১৫ মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৫৭ বছর বয়সী ফেই জানলং। তিনি ২০০৫ সালে শেনঝাউ-৬ মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশন চালু হলে, প্রতি বছর দুবার করে সেখানে নভোচারী পাঠাতে পারবে চীন।

news24bd.tv/মামুন