মিয়ানমারে জান্তাবিরোধীদের হাতে ২০ হাজার সেনা নিহত : গণতন্ত্রপন্থি নেতা

গণতন্ত্রপন্থি নেতা ডুয়া লাশি লা।

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধীদের হাতে ২০ হাজার সেনা নিহত : গণতন্ত্রপন্থি নেতা

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গণতন্ত্রপন্থি বাহিনীর অন্তত দুই ‍হাজার সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। এমনটা দাবি করে মিত্র দেশগুলোর কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেতা ডুয়া লাশি লা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, বিদ্রোহীদের হামলায় অন্তত ২০ হাজার জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। যদিও, এমন মন্তব্যে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি দেশটির সরকার।

 

গত বছর পহেলা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। ক্ষমতায় এসেই সু চিসহ তার দলের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করে জান্তা সরকার। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটির নাগরিকদের ওপর শুরু হয় দমন-পীড়ন।

জান্তা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি-এনএলডির অনেক নেতা পালিয়ে যান।

এদের মধ্যে গণতন্ত্রপন্থি নেতা ডুয়া লাশি লা অন্যতম। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী তাকে এবং তার সতীর্থদের সন্ত্রাসীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ নিষিদ্ধ করে।

সম্প্রতি, অজ্ঞাত এক স্থান থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ওই নেতা। বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়। এতে, মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে গণতন্ত্রপন্থি বাহিনীর অন্তত দুই হাজার সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করেন ডুয়া। একই সঙ্গে মিত্র দেশগুলোর প্রতি সামরিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে, পাল্টা জবাবে বিদ্রোহীদের হামলায় অন্তত ২০ হাজার জান্তা সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডুয়া।

রয়টার্সকে ডুয়া আরো জানান, এনএলডির পালিয়ে যাওয়া নেতারা একজোট হয়ে ন্যাশনাল ইউনিটি গর্ভনমেন্ট-এনইউজি গঠন করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। ডুয়া লাশি বর্তমানে এনইউজি'র ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

ডুয়া লাশি ওই সাক্ষাতকারে আরও জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতার পথ এখনও বন্ধ হয়ে যায়নি। তবে, তার আগে জান্তা সরকারকে বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধের পাশাপাশি রাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে। যদিও ডুলা লাশির এমন মন্তব্যে জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

রয়টার্স জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাশিয়া, চীন ও ভারতের কাছ থেকে সমরাস্ত্র পাচ্ছে। গণতন্ত্রপন্থি যোদ্ধারা শক্তিতে তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। সেনাবাহিনী যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বিমান হামলা চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ১৩ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। যদিও জান্তা বাহিনী বলছে, তারা বেসামরিক লোকদের উপর নয় বরং ‘সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
news24bd.tv/আলী