মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত অধ্যায় শুরু হয় ৩ ডিসেম্বর

সংগৃহীত ছবি

মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত অধ্যায় শুরু হয় ৩ ডিসেম্বর

মাসুদ রানা

ডিসেম্বর মাসে মুক্তিবাহিনীর একের পর এক হামলায় পাক হানাদাররা দিশেহারা। ৭১ এর এই মাসের শুরুর দিক থেকে বাংলাদেশের প্রায় সবখানে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ীর বেশে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। সেইসঙ্গে ৩ ডিসেম্বর ভারতে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। ঘোষিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড।

শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত অধ্যায়।  

৩ ডিসেম্বর দিনটি ছিল শুক্রবার। এ দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কোলকাতার ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতের বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের বিমান হামলা শুরু হয়। অবিলম্বে তিনি দিল্লি ফিরে যান।

ভারত জুড়ে জারি হয় জরুরি অবস্থা। ঘোষিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড।

পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধকে পাক-ভারতের মধ্যেকার যুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়া। তবে তৎকালীন পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন জানায়, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে যেকোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে তারা ভেটো দেবে।

ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত মিত্রবাহিনীর আক্রমণে কোনঠাসা হতে থাকে হানাদাররা। ৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় পাক হানাদার বাহিনী পৈশাচিক নারী নির্যাতন ও গণহত্যা চালায়।

এ দিন মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীর মাইজদি, সোনাইমুড়ি, কুমিল্লার মিয়াবাজার, দখলে নেয়। বিজয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যান বাঙালিরা।

news24bd.tv/ইস্রাফিল