গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস আজ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস আজ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

আজ ৩ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্ত দিবস। এ দিনেই রক্ত আর প্রাণের বিনিময়ে কোটালীপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চূড়ান্ত বিজয় ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হলেও কোটালীপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়েছিল ৩ ডিসেম্বর।

এ অঞ্চলে পাক বাহিনী ও তাদের দোসররা ছিল খুবই শক্ত অবস্থানে। যুদ্ধ শুরু হলে কোটালীপাড়ার সন্তান পাকিস্তান সেনবাহিনীর সৈনিক প্রায়ত হেমায়েত উদ্দিন পাকিস্তান থেকে দেশে পালিয়ে এসে সাড়ে ৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন হেমায়েত বাহিনী। একটি ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকেও দেওয়া হয় যুদ্ধের ট্রেনিং। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া, জহরের কান্দি, হরিনাহাটিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সম্মূখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় হেমায়েত বাহিনী।
হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ২৪ জন আহত হন।

এদিন মিত্র ও মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে কোটালীপাড়া থানা, মসজিদ ও গোডাউনে অবস্থানরত পাক সেনাদের পতন ঘটে। ভোর ৫টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সাথে আক্রমণের মুখে ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় প্রায় ৫’শ পাক হানাদার আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পৌর মেয়র হাজী মো. কামাল হোসেন শেখ, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আতিয়ার রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক পলাশ সরদার বক্তব্য রাখেন।