ঢিলেঢালাভাবে চলছে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট মহাসড়কের প্রশস্তকরণের কাজ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সড়কটি ব্যবহারকারীরা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েচে এলাকাবাসী।
আর নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করার আশা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি খানাখন্দে ভরা, যা চলাচলের অযোগ্য। যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য ২০২০ সালের জুন মাসে একনেক সভায় ৬১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা অনুমোদিত হয়। আর কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০২২ সালে জুন মাসে।
মূল সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯৬ কোটি টাকা। আর জমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য খরচ ধরা হয়েছে ১১৬ কোটি টাকা। সড়কটি ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুট প্রশস্তের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সড়কটির দুপাশের গাছ কেটে বালু ভরাট করা হয়েছে। কিন্তু বচ্ছপগতিতে সড়কের কাজ চলায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু চলাচলেই দুর্ভোগ নিত্যসঙ্গী নয়; পণ্য পরিবহনেও কাঠখড় পোহাতে হয় তাদের।
সড়কটি দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানো এক ড্রাইভার বলেন, ‘ছয় মাস ধরে কাজ চলছে কিন্তু কাজের কোনো গতি নেই। ’
আরেক ড্রাইভার অভিযোগ করে বলেন, ‘ভাঙা রাস্তা দিয়েই আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। প্রতিদিন যা ইনকাম করছি তা অটোরিকশার পেছনেই খরচ হচ্ছে। ’
স্থানীয় এক নারী বলেন, ‘রাস্তার কাজই তো করে না। ঝাকুনি খেতে খেতেই আমাদের চলতে হচ্ছে। এ কারণে এখন এই রাস্তা ব্যবহার করতে আর ইচ্ছে করে না। ’
গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, মাদারীপুর বিলরুট ক্যানেলের পূর্ব পাশ দিয়ে ৩৫ কিলোমিটার সড়কটি মূলত বেড়িবাঁধের ওপরে অবস্থিত। এটি এক সময় ঢাকায় যাতায়াতের মূল সড়ক ছিল। এ সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করতে ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে করা হচ্ছে। আগামী ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে তার।
news24bd.tv/মামুন