দেশের আড়াই শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো প্রতিবন্ধিতার শিকার। এমন তথ্য দিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় ২০১৩ সালে আইন হলেও তা রয়েছে শুধু কাগজে কলমেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েই আইনের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।
পরিবার ও সমাজকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।চিকিৎসক বাবা মায়ের সন্তান মুসায়ের আহেমেদ নামির। তার স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নামির পড়ছে বিশেষ স্কুলে।
নামিরের মতো অনেকের মধ্যে কারো স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া, আবার কারোবা চিকিৎসক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুকাল থেকেই বাবা মায়ের সচেতনতা এবং সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলেই আগামীর বাংলাদেশে দক্ষ হয়ে উঠবে এসব শিশুরা।
বাংলাদেশ থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ফিদা আল-শামস জানান, সঠিক চিকিৎসার অভাবে এমন শিশুদের অনেকে বোঝা হয়ে উঠছে পরিবার ও সমাজের।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মতে, দেশের ২ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ শারীরিক, মানসিক বা যেকোনো ধরনের প্রতিবন্ধিতার শিকার। এ হিসাবে দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ৪৮ লাখ।
চলতি বছরে আরেক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিবন্ধী শিশুদের ৫৮ শতাংশ স্কুলে যেতে পারছে না। ৭২ শতাংশ প্রতিবন্ধীর কোনো কর্মসংস্থান মিলছে না। ২০১৩ সালে প্রণিত হয়েছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনের প্রয়োগ কম থাকায় সুফল পাচ্ছে না তারা। একইসঙ্গে পরিবার, সামাজ ও রাষ্ট্রের সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এ নিয়ে কথা হয়, সিডিডি নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থিনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ। তারা জানান, প্রচলিত ব্যবস্থার মধ্যেই প্রতিবন্ধীদের জন্য উপযোগী সমাজ গড়তে হবে।
news24bd.tv/ইস্রাফিল