মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর গর্বিত সদস্য ও অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। আজকের শপথের মধ্য দিয়ে দেশ মাতৃকার সার্বোভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
’রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির ৮৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রশিক্ষণ সমাপনী ও রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আজ ১২৩ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতেই তিনি নবীন ক্যাডেটদের অভিবাদন গ্রহণ করে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীকে বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীর জন্য ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। সেনাবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে এর পরিসর নানাভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সারাবিশ্বে শান্তি রক্ষায় এক অনন্য ভূমিকা পালন করছে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের মানুষের কল্যাণে নবীন অফিসারদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন তিনি।
এবার ৮৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে মোট ১২৩ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। এর মধ্যে ১৫ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তোমাদের জাতির পিতা হিসেবে আদেশ দিচ্ছি। তোমরা সৎ পথে থেকো, মাতৃভূমিকে ভালোবেসো, ন্যায়ের পথে থেকে- গুরুজনকে মেনে শৃঙ্খলা বজায় রেখ চলো; তাহলে জীবনে মানুষ হতে পারবা। ’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘কাজেই আমরা আশা করি, আমাদের নতুন ক্যাডেটরা এগুলো মনে রাখবেন এবং দেশবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। “সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়”, এটাই ছিল জাতির পিতার নীতি। ’
সেনাবাহিনীর কল্যাণে তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৪ সালে জাতির পিতা যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা দিয়ে যান, তা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে বাস্তবায়ন করি। ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে সেনা বাহিনীকে একটা যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য যে, ২০২১ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ’
এরপর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন।
news24bd.tv/ইস্রাফিল