বুদ্ধিজীবী হত্যার সেই ‘১০ ডিসেম্বর’ বিএনপির খুব প্রিয়: প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

বুদ্ধিজীবী হত্যার সেই ‘১০ ডিসেম্বর’ বিএনপির খুব প্রিয়: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেই জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকে হত্যা করেছেন। বিমান ও সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে হত্যা করেছেন। ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীর লাশ পর্যন্ত গুম করেছে।

তিনি বলেন, ২০০১ সাল বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর ওদের অত্যাচার থেকে এই দেশের সাধারণ মানুষ রক্ষা পায়নি। তারা দেশকে দিয়েছিলো সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ। এর বেশি কিছু তারা দেশের জনগণকে দিতে পারে নাই। স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আলবদরের দোসররা ও জাতীর পিতার খুনিরা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিলো বলেই বাংলাদেশ আর এগিয়ে যেতে পারেনি।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারণ করি। কিন্তু ১৯৭৫ এর আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার সেই আদর্শকে বিসর্জন দেওয়া হয়। এমনকি বঙ্গন্ধুর নাম পর্যন্ত মুছে ফেলা হয়েছিলো। সে সময়ে এমনকি জয় বাংলা স্লোগান পর্যন্ত  নিষিদ্ধ করেছিলো ওই খালেদা জিয়া গংরা। আমরা ক্ষমতায় ফিরে আসার পরে আল্লাহর রহমতে আজ জয় বাংলা স্লোগান ফিরে এসেছে। বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস এখন তরুণ প্রজন্ম জানতে পারছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ এই দেশের জনগণ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করে। রাজাকার আলবদর আলসামসরা মিলে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের আগে এই দেশের সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা শুরু করে। ১০ ডিসেম্বর ইত্তেফাকের সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন রোশনকে পাকবাহিনী তুলে নিয়ে যায়। সেই ১০ ডিসেম্বর থেকে পাকবাহিনী পরিকল্পনা করে এই দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করেছিলো।  সেই ১০ ডিসেম্বরই বিএনপির খুব প্রিয়!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা তিনটা ৫ মিনিটে পলোগ্রাউন্ডের জনসভাস্থলে এসে পৌঁছান। এ সময় মঞ্চ থেকে স্লোগান দিয়ে স্বাগত জানান জ্যেষ্ঠ নেতারা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জনসভায় ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর করেন চারটি প্রকল্পের। ১১টি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হওয়ার পথে রয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ব্যয় ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।

সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সিনিয়র নেতা, মন্ত্রী-এমপিরা বক্তব্য রাখেন। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বিএমএ-তে সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে সালাম গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান এসএম শফিউদ্দিন। এ সময় ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

news24bd.tv/আলী