যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ইইউকে: ইইউ কমিশন প্রেসিডেন্ট 

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ইইউকে: ইইউ কমিশন প্রেসিডেন্ট 

অনলাইন ডেস্ক

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেছেন, মার্কিন সরকারের ভর্তুকিযুক্ত গ্রিন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে ইউরোপকে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। খবর আরটির।

গত আগস্টে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন (আইআরএ) নামে একটি আইন পাস করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নামে আইন মনে হলেও আদতে এটি ৭৩৮ বিলিয়ন ডলারের একটি ভর্তুকি প্যাকেজ।

যার মধ্যে জলবায়ুবান্ধব শিল্প প্রকল্পের জন্য ৩৯১ বিলিয়ন ডলার বাজেট বরাদ্দ রয়েছে। বাইডেনের এই কাজটিকে ইউরোপের শিল্পের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন উরসুলা।

এর আগে বেলজিয়ামে এক বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, মার্কিন সরকারের এই প্রণোদনার ফলে দেশটিতে উৎপাদিত পণ্য ও এর উৎপাদককে অসম সুযোগ দেবে। এবং এই অসম প্রতিযোগিতায় ইউরোপীয় কোম্পানিগুলে টিকে থাকতে পারবে না।

ফলে ভেঙে পড়তে পারে সাপ্লাই চেইন।  

তিনি আরও বলেন, একদিকে আইআরএ ও ভঙ্গুর সাপ্লাই চেইন, অন্যদিকে রেকর্ড পরিমাণ জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে অসুবিধার মধ্যে রাখতে পারে।

উরসুলার মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধার একটি ভারসাম্য থাকতে হবে। তবে আইআরএ এবং অন্যান্য কিছু বিষয় অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করছে। এই সমস্যা সমাধানে ইউরোপকে তার নিজস্ব শিল্পপ্রতিষ্ঠাগুলোতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা বাড়াতে হবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এছাড়া আইআরএর সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিতে হবে।

এর আগে রোববার ইইউ পার্লামেন্টের বাণিজ্য কমিটির প্রধান বার্ন্ড ল্যাঞ্জ বলেছিলেন, আইনটি পরিবর্তনের জন্য ওয়াশিংটনকে চাপ দেওয়া সময়ের অপচয়; বরং এর পরিবর্তে ইইউ’র উচিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে অভিযোগ দায়ের করা।

উরসুলা ইউরোপব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধির জন্য ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে দায়ী করেন। যদিও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণ মস্কোর ওপর ইইউ’র আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা।  এছাড়া শনিবার রাশিয়ার প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৬০ ইউরো নির্ধারণ করেছে ইইউ। যদিও মস্কো বলছে, এই দামকে স্বীকৃতি দেবে না তারা।

news24bd.tv/আজিজ