বিজয়ের মাসে রাবির বধ্যভূমিতে চলছে নাচ-গান, সমালোচনার ঝড়

বিজয়ের মাসে রাবির বধ্যভূমিতে চলছে নাচ-গান, সমালোচনার ঝড়

রাজশাহী প্রতিনিধি

বিজয়ের মাসেও থেমে নেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমিতে পিকনিক, চড়ুইভাতি, আনন্দ ভোজন, নাচ-গানসহ বিভিন্ন বিনোদন অনুষ্ঠানের আয়োজন। এসবের মাধ্যমে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতিশীল শিক্ষকরা।

সোমবার বিকেলে বধ্যভূমিতে দেখা যায়, মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ও ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা বদ্ধভূমিতে পিকনিক করছে। তারা লাউডস্পিকারে বাজানো বিভিন্ন গানের সাথে নাচানাচি করছে।

তারা বলেন, আমরা এখানে খেলাধুলার আয়োজন করেছিলাম। এসময় লাউডস্পিকারে গান বাজানো হয়েছে।

মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ শিকদার বলেন, পিকনিক, নাচ, গান করলেও বধ্যভূমি ও শহীদদের প্রতি অসম্মান করা হচ্ছে না। বরং এখানে পিকনিক করতে আসার ফলে শিক্ষার্থীরা বধ্যভূমি দেখার সুযোগ পাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র শিক্ষকরা বলছেন, এটা দুঃখজনক।  পিকনিক, গান বাজনা বা বিনোদনের মাধ্যমে বধ্যভূমির শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো যায় না। এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে বধ্যভূমির গুরুত্ব হালকা করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি পিকনিক করার অনুমোদন দেয় তা যথাযথ হবে না।

শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আব্দুল কাইয়ুমের কন্যা ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি মাহবুবা কানিজ খেয়া বলেন, একটা বধ্যভূমির আশপাশে বনভোজন হয়, আনন্দ অনুষ্ঠানও হয়। এটা মেনে নেয়ার মতো বিষয় নয়। ওখানে এখনও মানুষের মরণ যন্ত্রণা স্পষ্ট। এসময় তিনি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের বিবেকবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, শীতকালে পিকনিকের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু গান বাজনার অনুমতি দেওয়া হয় না। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো নাচ গান হচ্ছে কিনা।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক