যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনছে ভারত। এবার সেই কাতারে যোগ দিতে যাচ্ছে পাকিস্তানও। দেশটির জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রী মুসাদিক মালিক বলেছেন, পাকিস্তানের কাছে ছাড়ে অপরিশোধিত তেল, পেট্রল ও ডিজেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো। খবর রয়টার্সের।
সম্প্রতি রাশিয়া গিয়েছিলেন মুসাদিক মালিক। এ সময় জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয় দুদেশের মধ্যে ঊর্ধ্বতনদের মধ্যে। ফিরে এসে গতকাল সোমবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন মুসাদিক মালিক। সেখানে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া সফরে গিয়ে আমরা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু পেয়েছি।
তবে কত দামে মস্কো থেকে তেল কিনবে ইসলামাবাদ সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি মুসাদিক মালিক। এমনকি মস্কোও দরের বিষয়ে কিছু জানায়নি।
রাশিয়া থেকে পাকিস্তান যে কম দামে জ্বালানি তেল কেনার কথা ভাবছে তা অবশ্য মাসখানেক আগেই জানিয়েছিলেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। ওই সময় তিনি ভারতের প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, ইসলামাদেরও মস্কোর কাছ থেকে এই সুযোগ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
এ দিকে পাকিস্তানে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করতে রাশিয়া আগ্রহী বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মুসাদিক মালিক। তিনি বলেছেন, ‘এ লক্ষ্যে দুটি পাইপলাইন প্রকল্প নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর একটি হলো ‘পাকিস্তান স্ট্রিম’। ’ এ ছাড়া রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে দেশটির কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে।
আসন্ন শীতে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে একপ্রকার হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান। এ ছাড়া তেলসহ বিভিন্ন জ্বালানির আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে ইসলামাবাদের অবস্থা নাকাল। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে কম দামে জ্বালানি তেল পেলে তা পাকিস্তানের বেহাল অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়ার জ্বালানি তেলে সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল ইউরোপের দেশগুলো। তবে যুদ্ধ শুরুর পর পরিস্থিতিতে বদল এসেছে। মস্কোর ওপর জ্বালানি নির্ভরশীলতা শূন্যের কোঠায় আনতে তৎপর হয়ে উঠেছে ইউরোপ। যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করেছে। এরই মধ্যে ভারত ও চীনের কাছে কম দামে তেল বিক্রি শুরু করে রাশিয়া। দেশ দুটি এখন রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।
news24bd.tv/মামুন